আগের দুই ম্যাচে ফিরতে হয়েছিল শূন্য রানে। সিডনিতে আরও এক বার শূন্য করলে লজ্জার রেকর্ড হত। সেটা জানতেন বিরাট কোহলি নিজেও। তাই প্রথম রান করে উল্লাস করতে দেখা গেল কোহলিকে। হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি।
সিডনিতে ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শুভমন গিলকে আউট করেন জশ হেজ়লউড। শুভমন সাজঘরে ফেরার পর কোহলি যখন নামছেন তখন শব্দের ডেসিবল বাড়ছে। কিন্তু কোহলি চুপচাপ ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় চাপে রয়েছেন তিনি। হেজ়লউডের প্রথম বল মিড অনে মেরেই অপর প্রান্তে ছোটেন কোহলি। এক রান পূর্ণ করার পরেই গোটা মাঠ জুড়ে উল্লাস। ভারতীয় সমর্থকেরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন।
কোহলিকেও দেখা যায়, রোহিতের দিকে তাকিয়ে ‘ফিস্টপাম্প’ করছেন। ভাবখানা এমন, শতরান করেছেন। কোহলির মুখের হাসি দেখে বোঝা যায়, কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। সেই এক রানের পর কোহলিকে বেশ সাবলীল দেখায়। কয়েকটি চার মারেন। পাশাপাশি দৌড়ে রান করেন। রোহিতের সঙ্গে ভাল জুটি বাঁধেন কোহলি।
আরও পড়ুন:
এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে ৩০৪ ম্যাচে ১৪,১৮১ রান করেছেন কোহলি। ৫৭.৪১ গড়ে রান করেছেন তিনি। অর্থাৎ, প্রতি ম্যাচে ৫০-এর উপর রান। ৫১ শতরান ও ৭৪ অর্ধশতরান করেছেন। সেই ব্যাটার ১ রান করার পর যা উল্লাস করলেন, তাতে বোঝা গেল, কোনও কোনও সময় একটা রানের গুরুত্ব কতটা।
পার্থে প্রথম ম্যাচে আট বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন কোহলি। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ম্যাচে চার বলে শূন্য রান করেন। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে প্রথম বার পর পর দু’ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। তৃতীয় রানে তাই মরিয়া ছিলেন অন্তত এক রান করতে। এটিই হয়তো কোহলির শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর। তাই প্রতিটি মাঠে তাঁকে ঘিরেই উন্মাদনা। এই দেশে অনেক রান করেছেন কোহলি। সেই তিনিই যদি এক রানও না করতে পারতেন, সেটা তাঁর সাফল্যে ভরা কেরিয়ারে কালো দাগ হয়ে থাকত। সেটাই চাননি কোহলি। তাই সিঙ্গলের পর ও ভাবে উল্লাস করেছেন তিনি।