বিরাট কোহলি শতরান করে আউট হয়ে ফেরার সময় তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন গৌতম গম্ভীর। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক যে বিশেষ ভাল নয় তার প্রমাণ আরও এক বার পাওয়া গিয়েছে ম্যাচের পর। রাঁচীতে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে ফেরার পথে কোচকে পাত্তাই দিলেন না কোহলি। পরে দলের জয়ের উৎসবেও যোগ দেননি তিনি।
রাঁচীতে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলায় ম্যাচের সেরা হয়েছেন কোহলি। সেই পুরস্কার নিয়ে তিনি সাজঘরে ফেরার সময় সাজঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন গম্ভীর। কোহলি পকেট থেকে মোবাইল বার করে সে দিকে তাকাতে তাকাতে সাজঘরের ভিতরে ঢুকে যান। গম্ভীরের দিকে তাকাননি। গম্ভীর অবশ্য কোহলির দিকে তাকিয়েছিলেন। হয়তো ভেবেছিলেন, কোহলি এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু কোচকে পাত্তাই দেননি কোহলি।
পরে যখন ভারতীয় দল রাঁচীর হোটেলে ফেরে, তখন সেখানে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। রাখা ছিল একটি কেক। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল কেক কাটেন। কোহলি তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হোটেলের কর্মী থেকে শুরু করে সতীর্থেরা তাঁকে অনেক বার ডাকেন। কিন্তু কোহলি তাতে যোগ দেননি। তিনি হাত নাড়িয়ে বাকিদের আনন্দ করতে বলে লিফ্টের দিকে হাঁটেন। সেখানেও দাঁড়িয়ে ছিলেন গম্ভীর। তাঁকে এ বারও পাত্তা দেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
রাঁচীতে সাজঘরে বসে কোহলির শতরান দেখেছেন গম্ভীর। কোহলি যখন শতরান করেছেন, তখন সাজঘরে গম্ভীরকে দেখা গিয়েছে বসে বসে হাততালি দিতে। তখনও তাঁর চোখে রোদচশমা ছিল। গম্ভীরের এই রোদচশমা পরে বসার সমালোচনা হয়েছে সমাজমাধ্যমে। অনেকের মতে, ইচ্ছা করেই রোদচশমা পরেছিলেন তিনি। যাতে চোখ দেখে কিছু বোঝা না যায়, সেই জন্যই তিনি এই কাজ করেছেন বলে মত তাঁদের। ১৩৫ রান করে আউট হয়ে কোহলি সাজঘরে ফেরার পর অবশ্য তাঁকে জড়িয়ে ধরেন গম্ভীর। তবে কোহলি পরবর্তী সময়ে উপেক্ষা করলেন কোচকে।