বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
বিরাট কোহলির গলায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান। বাংলার মানুষের কাছে খুবই পরিচিত এই স্লোগান হঠাৎ দিল্লির বিরাটের মুখে। তবে কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়। স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিরাট খেলার ছলেই বলেন, “খেলা হবে।”
১২ নভেম্বর বিশ্বকাপে ভারত-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচের পর স্টার স্পোর্টসে ‘বিলিভ: দ্য দিওয়ালি মিরাকল’ বলে একটি শো সম্প্রচারিত হয়। সে দিন ছিল ওই শোয়ের শেষ পর্ব। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে হয়েছিল শো-টি। সেখানেই সঞ্চালক যতীন সাপরু বলেন, “খেলা হবে।” তাঁর সঙ্গে গলা মেলান বিরাট। তিনিও বলেন “খেলা হবে।”
বাংলায় ১৬ অগস্ট দিনটি ‘খেলা হবে দিবস’ নামে উদ্যাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আসুন, খেলা হয়ে যাক।’’ তাঁর অন্যতম সেনাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘আমরাও বলছি খেলা হবে। তোমাদের (তৃণমূল) খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ কয়েক বছর আগে ‘খেলা হবে’-র বার্তা দিয়ে নবান্ন অভিযান করেছিলেন বাম ছাত্র-যুবরা। হুমকিতে, চ্যালেঞ্জে, গানে, প্যারোডিতে, পোস্টারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল— খেলা হবে, খেলা হবে!
তবে এই স্লোগানের আবিষ্কার এ পার বাংলায় নয়। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের আওয়ামি লিগের সাংসদ শামিম ওসমান ২০১৩-১৪ সালে প্রথম এই স্লোগানটি দিয়েছিলেন। সেই স্লোগান এ পার বাংলায় জনপ্রিয় হয় তৃণমূলের দৌলতে। পরে অন্যান্য রাজ্যে ভোটের সময় স্থানীয় ভাষায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান ব্যবহার হয়েছিল। সেই স্লোগান এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, বিরাটের মুখেও শোনা গেল ‘খেলা হবে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy