দেখে মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের মতো বিজয় হজারেতেও পর পর দু’ম্যাচে শতরান করবেন বিরাট কোহলি। সেই পথে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু স্পিনারের বলে ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে ছন্দপতন হল। ৭৭ রানে আউট হলেন কোহলি। শতরান হাতছাড়া হল তাঁর। কিন্তু এই ৭৭ রানের ইনিংসে কোহলি বুঝিয়ে দিলেন, ছন্দ ধরে রেখেছেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের মাঠে কোহলি যখন ব্যাট করতে নেমেছেন, তত ক্ষণে জয়পুরের সওয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরে গিয়েছেন। রোহিত ব্যর্থ হলেও কোহলি অবশ্য শুরু থেকেই চালিয়ে খেললেন।
২৯ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। দিল্লি শুরুতে প্রিয়াংশ আর্য ও অর্পিত রানার উইকেট হারালেও কোহলি পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তাঁর ব্যাট থেকে একের পর এক বড় শট এল। অর্ধশতরানের পরেও চালিয়ে খেলছিলেন কোহলি। সেটা করতে গিয়েই উইকেট দিয়ে এলেন। বিশাল জয়সওয়ালের বলে স্টাম্প আউট হন কোহলি। ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে ১৩টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ১০১ বলে ১৩১ রান করেছিলেন কোহলি। মেরেছিলেন ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কা। সেই ম্যাচে ১২৯.৭০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন তিনি। কোহলির দাপটে মাত্র ৩৭.৪ ওভারে ২৯৮ রান তাড়া করেছিল দিল্লি। এই ম্যাচে শতরান না পেলেও ১২৬.২৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন কোহলি। অর্থাৎ, আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর এখন শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলছেন কোহলি। তাঁর লক্ষ্য ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে খেলা। তবে তার জন্য তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই কারণেই ১৫ বছর পর বিজয় হজারে খেলতে নেমেছেন তিনি। তবে কোহলিকে ছাড়ও দিয়েছে বোর্ড। দু’টি ম্যাচ খেললেই চলবে। দু’টি ম্যাচ খেলেও ফেললেন তিনি। একটি ম্যাচে শতরান করলেন। অন্যটিতে ৭৭। এখন দেখার, বিজয় হজারের আর কোনও ম্যাচে কোহলিকে খেলতে দেখা যায় কি না।