গত বছর ডিসেম্বর মাসে আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন জয় শাহ। এ বার বিশ্বক্রিকেটে ভারতের দাপট আরও বাড়তে চলেছে। আইসিসির চিফ এগজ়িকিউটিভ পদে বসতে চলেছেন সংযোগ গুপ্ত। তেমনটা হলে শাহ চেয়ারম্যান হওয়ার পর আইসিসির পদে বসবেন আর এক ভারতীয়। বর্তমানে সম্প্রচারকারী সংস্থা জিয়োস্টারের ‘হেড অফ লাইফ স্পোর্ট’-এর দায়িত্বে রয়েছেন সংযোগ।
জুলাই মাসে আইসিসির বার্ষিক সভা রয়েছে। সেখানেই নতুন চিফ এগজ়িকিউটিভের নামে সিলমোহর বসতে পারে। আপাতত এই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার জিওফ অ্যালার্ডিস। তাঁর কার্যকাল শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এ বার নতুন কেউ দায়িত্ব নেবেন। জানা গিয়েছে, আপাতত এই পদের দৌড়ে সংযোগ ছাড়া আর কেউ নেই।
সংযোগকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন শাহ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব থাকাকালীন শাহ ও সংযোগের সম্পর্ক বেশ ভাল ছিল। ভারতে সব খেলার সম্প্রচারের দায়িত্ব জিয়োস্টারের। সেই কারণেই তাঁদের একসঙ্গে কাজ করতে হয়েছে। পরিচিত মুখকেই নতুন দায়িত্ব দিতে চান আইসিসির চেয়ারম্যান।
যদি সংযোগ আইসিসির নতুন চিফ এগজ়িকিউটিভ হন তা হলে বিশ্বক্রিকেটে যেমন ভারতের দাপট বাড়বে, তেমনই অনেক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে তাঁকে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইসিসি প্রতিযোগিতাতেও গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে চাইছে না। যদি ভারত-পাক ম্যাচ না হয় তা হলে সম্প্রচারকারী সংস্থার লোকসান হবে। ফলে সম্প্রচার বাবদ আইসিসিকে যে টাকা জিয়োস্টার দেয় তা তারা কমাতে পারে। সেই বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে হবে সংযোগকেই।
আরও পড়ুন:
২০২৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এক নিয়মে চলছে। ২০২৭ সালের পর সেই নিয়ম বদলাতে পারে। টেস্ট খেলা দেশগুলিকে দু’টি ভাগে ভাগ করে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তাব রয়েছে। সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০২৮ সালের অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ও রয়েছে।
২০২৮ সাল থেকে আইপিএলের ম্যাচের সংখ্যা ৭৪ থেকে বেড়ে ৯৪ হওয়ার কথা। প্রতি বছর নতুন নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু হচ্ছে। তাতে খেলার আগ্রহও দেখাচ্ছেন বিদেশি ক্রিকেটারেরা। এই পরিস্থিতিতে লিগ ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাশাপাশি চালানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে আইসিসিকে। সেখানেও বড় দায়িত্ব থাকবে চিফ এগজ়িকিউটিভের উপর। এখন দেখার জুলাইয়ে সংযোগের নামেই আইসিসি সিলমোহর দেয় কি না।