মধ্যাহ্নভোজের আগে ও পরে বদলে গিয়েছে ছবিটা। বিরতির পর মহম্মদ সিরাজের আট ওভারের একটা স্পেল ভারতকে খেলায় ফিরিয়েছে। ওই আট ওভারের মধ্যে তিনি ওলি পোপ, জো রুট ও জেকব বেথেলকে আউট করে ইংল্যান্ডকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সিরাজ জানিয়েছেন, এক ‘দাদা’-র নির্দে পালন করার জন্য নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছেন তিনি। তাতেই সাফল্য।
সিরাজের সেই দাদা হলেন জসপ্রীত বুমরাহ। এই টেস্টে তিনি খেলছেন না। ভারতীয় দল তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। সিরাজ জানিয়েছেন, ওভালে নামার আগে বুমরাহ তাঁকে একটা নির্দেশ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিরাজ বলেন, “জস্সি ভাই আমার নিজের দাদার মতো। আমি এই টেস্টের আগে ওকে বলেছিলাম, কেন তুমি চলে যাচ্ছ? তা হলে ৫ উইকেট নিয়ে আমি কাকে জড়িয়ে ধরব? তা শুনে জস্সি ভাই বলল, আমি কোথাও যাচ্ছি না। এখানেই আছি। যাও, ৫ উইকেট নিয়ে ফেরো। আমাদের মধ্যে এই কথাই হয়েছিল। জস্সি ভাইয়ের কথার মান রাখতে পেরেছি।”
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। সিরিজ়ে ১৮ উইকেট নিয়ে সকলের উপরে তিনি। বুমরাহ ও তিনি মিলিয়ে ৩২ উইকেট নিয়েছেন। সিরাজ অবশ্য নিজের উইকেট নিয়ে ভাবছেন না। তিনি চান দলের জয়। ভারতের পেসার বলেন, “ইংল্যান্ডের উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়া যায় বলে পেসারেরা এই দেশে খেলতে ভালবাসে। আমারও এখানে খেলতে ভাল লাগে। সিরিজ়ে আমি সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছি। ভাল তো লাগবেই। কিন্তু আমার আসল লক্ষ্য দলের জয়। জিততে না পারলে এই উইকেট নেওয়ার কোনও গুরুত্ব নেই।”
আরও পড়ুন:
ভারত-ইংল্যান্ড দুই দল মিলিয়ে মাত্র দু’জন পেসার পাঁচটা টেস্টেই খেলেছেন। ভারতের সিরাজ ও ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস। তবে ওভালে প্রথম দিন চোট পেয়েছেন ওকস। ফলে টেস্টের বাকি চার দিন আর খেলতে পারবেন না তিনি। সে ক্ষেত্রে সিরাজই একমাত্র পেসার যিনি গোটা সিরিজ় খেললেন। কিন্তু যত বার তিনি বল করতে এসেছেন, তত বার একই রকম আগ্রাসন দেখিয়েছেন। তার নেপথ্য কারণও জানিয়েছেন তিনি। সিরাজ বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই এমন। প্রচুর পরিশ্রম করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। তাই কখনও পরিশ্রম ছাড়িনি। যখনই মাঠে নামি, ১০০ শতাংশ দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে নামি। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, আমার পরিশ্রমে কোনও খামতি থাকে না।”