আপাত শান্ত জো রুটও রেগে গিয়েছেন ওভালে। ভারতের পেসার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয়েছে আম্পায়ারদের। কিন্তু কেন রেগে গিয়েছেন রুট? ঠিক কী বলেছিলেন প্রসিদ্ধ? দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তা জানিয়েছেন ভারতের পেসার। এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিকও।
ঘটনাটি ঘটে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ২২তম ওভারে। প্রসিদ্ধের একটা বল রুটের ব্যাট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তা দেখে প্রসিদ্ধ কিছু একটা বলেন রুটকে। পরের বলেই জবাব দেন রুট। পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন তিনি। তার পরে নিজেকে সামলাতে পারেননি রুট। হেঁটে প্রসিদ্ধের কাছে গিয়ে রুটকে কিছু বলতে শোনা যায়। তাঁকে দেখে যথেষ্ট উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। সাধারণত রুট এতটা মেজাজ হারান না। প্রসিদ্ধও চুপ ছিলেন না। তিনিও জবাব দেন।
পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসেন আম্পায়ারেরা। তাঁদের কাছে প্রসিদ্ধ কিছু বলেন। তিনি হয়তো বোঝাতে চাইছিলেন, তাঁকে রুট কী বলেছেন। তাঁর কথা শুনে আম্পায়ারেরা রুটের সঙ্গেও কথা বলেন। তার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন রাহুল। তিনিও আম্পায়ারদের কিছু একটা বলেন। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দিনের খেলা শেষে প্রসিদ্ধ জানিয়েছেন, তিনি ভাবতে পারেননি রুট এতটা রেগে যাবেন। রেগে যাওয়ার মতো কিছু বলেননি তিনি। প্রসিদ্ধ বলেন, “আমি জানি না কেন রুট এতটা রেগে গেল। আমি বলেছিলাম, তোমাকে দেখে বেশ তরতাজা লাগছে। সেটা শুনে ও একের পর এক খারাপ কথা আমাকে বলল।” রুট তাঁকে ঠিক কী কী বলেছেন, তা অবশ্য খোলসা করেননি ভারতের পেসার।
আরও পড়ুন:
প্রসিদ্ধ জানিয়েছেন, ইচ্ছা করেই রুটের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। রুটের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, “আমি যখন বোলিং উপভোগ করি তখন এটা করে থাকি। ব্যাটারের সঙ্গে কথা বলি। ওদের চাপে রাখার চেষ্টা করি। তাতে অনেক সময় ব্যাটারের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। কিন্তু রুটকে আমি খুব সম্মান করি। ওকে আমি কোনও খারাপ কথা বলিনি। তাতেই ও রেগে গেল।”
ট্রেসকোথিক অবশ্য বিষয়টা নিয়ে বেশি ভাবতে নারাজ। তাঁর মতে, খেলার মাঠে অনেক সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু রুটকে তিনিও আগে এ ভাবে রেগে যেতে দেখেননি। ট্রেসকোথিক বলেন, “আমার মনে হয় ওরা কিছু বলেছিল। ওরা নিশ্চয় রুটকে রাগাতে চাইছিল। গত কয়েকটা ইনিংসে রুট খুব ভাল খেলেছে। সেটা ওরা দেখেছিল। কিন্তু সাধারণত রুট রাগে না। হেসে বিষয়টা উড়িয়ে দেয়। এ বার ও রাগল। হতে পারে ও এ ভাবেই বিষয়টা সামাল দিতে চেয়েছিল।”