আবার মাঠে ফিরছেন মহম্মদ শামি। চোট সারিয়ে ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় ইংল্যান্ড সফরের দলে জায়গা পাননি তিনি। এ বার ঘরোয়া ক্রিকেটে দলীপ ট্রফির দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলার পেসার। পূর্বাঞ্চলের দলে রাখা হয়েছে তাঁকে। নেওয়া হয়েছে ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীকেও। ভারতের যুব দলের হয়ে ভাল খেলায় জায়গা করে নিয়েছে সে।
২৮ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে দলীপ ট্রফি। সেই প্রতিযোগিতার জন্য পূর্বাঞ্চলের দল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন শামি। বৈভব অবশ্য মূল দলে নেই। তাকে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, কোনও খেলোয়াড় চোট পেলে মূল দলে ঢুকবে সে। চলতি বছর আইপিএল ও তার পরে ইংল্যান্ডের যুব দলের বিরুদ্ধে ভাল খেলেছে বৈভব। তারই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাকে। খেলার সুযোগ না পেলেও ভারতের বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবে বৈভব। তাতে সুবিধাই হবে বিহারের ১৪ বছরের কিশোরের।
পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক করা হয়েছে ঈশান কিশনকে। দলে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলে থাকা অভিমন্যু ধারাবাহিকভাবে ভারত ‘এ’ দলের নেতৃত্ব দেন। কিন্তু দলীপে তাঁকে অধিনায়ক করা হয়নি। বদলে ঝাড়খণ্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঈশান অধিনায়কত্ব করবেন। অভিমন্যুকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। দলীপ থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটের আগামী মরসুম শুরু হবে।
শামি ও অভিমন্যু ছাড়া বাংলা থেকে মুকেশ কুমার, আকাশদীপ ও সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল দলীপের দলে সুযোগ পেয়েছেন। অসমের রিয়ান পরাগকেও নেওয়া হয়েছে। বৈভবের পাশাপাশি আরও পাঁচ ক্রিকেটারকে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত বছর দলীপের ফরম্যাট বদলেছিল। ভারত এ, বি, সি ও ডি এই চারটি দলে ভাগ করে খেলা হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত এ। তিনটে ম্যাচের মধ্যে দুটো জিতে ১২ পয়েন্ট পেয়েছিল তারা। কিন্তু এ বার বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় চার দলের প্রতিযোগিতা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। আবার পুরনো ফরম্যাটে ফিরেছে দলীপ ট্রফি। অর্থাৎ, এ বার আবার অঞ্চল ভিত্তিক খেলা হচ্ছে। ছ’টা দল খেলবে। তারা হল, উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে প্রধান কারণ, ক্রিকেটারদের নিজের অঞ্চলের হয়ে খেলার সুযোগ করে দেওয়া।
দলীপে পূর্বাঞ্চলের দল: ঈশান কিশন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সন্দীপ পট্টনায়ক, বিরাট সিংহ, ডেনিস দাস, শ্রীদাম পাল, শরণদীপ সিংহ, কুমার কুশাগ্র, রিয়ান পরাগ, উৎকর্ষ সিংহ, মনীশী, সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, মুকেশ কুমার, আকাশদীপ ও মহম্মদ শামি।
স্ট্যান্ডবাই: বৈভব সূর্যবংশী, আশীর্বাদ সোয়াইন, মুখতার হুসেন, স্বস্তিক সমল, সুদীপ কুমার ঘরামি ও রাহুল সিংহ।