যুজবেন্দ্র চহলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ধনশ্রী বর্মার। যদিও বম্বে হাই কোর্টের নির্দেশে সেই বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীকে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে চহলকে। ২০ মার্চের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের সব প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে। ২২ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু। তার আগে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, সম্পূর্ণ বিবাহবিচ্ছেদের আগে ছ’মাস সময় দেওয়া হয় স্বামী-স্ত্রীকে। সেই সময়ই দেওয়া হয়েছিল চহল এবং ধনশ্রীকে। এ বার পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। খোরপোশ হিসাবে চহলকে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ১৩বি (২) ধারা অনুযায়ী, দুই পক্ষ বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার পর ছ’মাস সময় দেয় কোর্ট। সেটাই এত দিন দেওয়া হয়েছিল চহলদের।
চহল এবং ধনশ্রী, দুই পক্ষই বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও চহল পুরোটা দেননি। কোর্ট সেটা ভাল ভাবে নেয়নি। কোর্ট জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই আড়াই বছর তাঁরা আলাদা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। আইপিএল শুরুর আগে কোর্ট এই মামলার রায় ঘোষণা করতে চাইছে।
আরও পড়ুন:
বেশ কিছু দিন ধরেই চহলদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ২০ ফেব্রুয়ারি জানা গিয়েছিল, আদালতে হাজিরা দিলেই বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। তাঁরা ইতিমধ্যেই আলাদা থাকেন। সমাজমাধ্যম থেকেও নিজেদের একসঙ্গে তোলা ছবি সরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আর ফলো করেন না চহল এবং ধনশ্রী।
ইন্সটাগ্রামে চহল লিখেছিলেন, “ঈশ্বর আমাকে কত বার রক্ষা করেছেন তা আমি গুনে শেষ করতে পারব না। আমি শুধু ভাবি, অজান্তে কত বার ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন। সব সময় সহায় হওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।” পোস্ট করেছিলেন ধনশ্রীও। তিনি লিখেছিলেন, “চাপমুক্তি। ঈশ্বর আমাদের চিন্তাকে কেমন আশীর্বাদে বদলে দেন। কী অদ্ভুত না? তুমি নয় চিন্তা করবে, নয় তো ঈশ্বরের উপর সব ছেড়ে দেবে। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখলে তিনি সব ঠিক করে দেন।”