শুক্রবার থেকে ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত। তার দু’দিন আগে, বুধবার ভারতের প্রথম একাদশ নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে। এক ক্রিকেটার যে বাদ পড়তে চলেছেন সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর মতে, ধ্রুব জুরেল দলে জায়গা ধরে রাখতে চলেছেন। নীতীশ রেড্ডির জায়গায় ঢুকছেন ঋষভ পন্থ।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে দুশখাতে বলেছেন, “সত্যি বলতে ওকে (জুরেল) এই টেস্টের বাইরে রাখা সম্ভব নয়। তবে ১১ জনকেই বেছে নিতে পারব। তাই কাউকে না কাউকে তো বাদ দিতেই হবে। প্রথম একাদশ নিয়ে আমাদের একটা ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছে। গত ছ’মাসে ধ্রুব খুবই ভাল খেলেছে। গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে জোড়া শতরান করেছে। ওর খেলা প্রায় নিশ্চিত।”
কলকাতা টেস্টে পন্থের খেলার কথা ছিল জুরেলেরই জায়গায়। জুরেলকেও খেলানো হলে বাদ পড়বেন কে? যা আন্দাজ করা হয়েছিল সেটাই বলেছেন দুশখাতে। নীতীশ রেড্ডিই বাদ পড়তে চলেছেন।
দুশখাতে বলেছেন, “দলের জয়ের জন্য কৌশল তৈরি করাই আমাদের আসল কাজ। নীতীশকে নিয়ে আমাদের কৌশলে কোনও বদল হয়নি। অস্ট্রেলিয়ায় ও খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেনি। তবে এই সিরিজ়ের গুরুত্ব যা এবং যে রকম পরিস্থিতির সামনে পড়তে চলেছি, তাতে এই টেস্টে নীতীশের খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।”
ইডেনে শুরুর দিকে পেসারেরা সাহায্য পেলেও পরের দিকে ঘূর্ণি দেখা যাবে। কুলদীপ যাদবের খেলা প্রায় নিশ্চিত। বাকি দুই স্পিনারের জন্য লড়াইয়ে রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর পটেল এবং রবীন্দ্র জাডেজা। তার মধ্যে কোন দু’জনকে বেছে নেওয়া হবে তা অবশ্য খোলসা করতে রাজি হননি দুশখাতে।
সহকারী কোচের কথায়, “আমার মতে, ওয়াশি, অক্ষর এবং জাড্ডুর মধ্যে তিন জন ব্যাটার রয়েছে। তাই আমাদের দলের নমনীয়তা অনেক বেশি। ফলে বেছে নেওয়া কঠিন। তবে এটুকু বলতে পারি আগামী টেস্টে ধ্রুব এবং ঋষভকে একসঙ্গে খেলতে দেখবেন।”
আরও পড়ুন:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজ় খেলে অস্ট্রেলিয়ায় সীমিত ওভারের সিরিজ় খেলতে গিয়েছিলেন শুভমন গিল। আবার তিনি নামছেন লাল বলের ক্রিকেটে। আবার মানিয়ে নিতে হবে তাঁকে। তবে দুশখাতে আশাবাদী। বলেছেন, “সব ফরম্যাটে খেলা খুবই কঠিন। তাই যত দিন যাচ্ছে সব ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শুভমন নিজেই এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। তার জন্য ও তৈরি। প্রত্যেকে পরিশ্রম করছে যাতে ম্যাচের আগে প্রস্তুত হয়ে নামতে পারে।”
দুশখাতের সংযোজন, “বার বার ফরম্যাট বদলাতে থাকলে সেটা মানিয়ে নেওয়া যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই কঠিন। তবে এখনকার ছেলেরা সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। খুব বেশি বদল হচ্ছে না। অনেকেই ঘরোয়া ক্রিকেট, ভারত এ দলের হয়ে খেলে তার পর এখানে এসেছে।”