১২ মে টেস্ট থেকে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি। তার আগেই জল্পনা শোনা গিয়েছিল, কোহলি বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কবে নিজের অবসরের কথা বোর্ডকে জানিয়েছিলেন তিনি? সে কথা জানালেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর।
শনিবার ইংল্যান্ড সফরের দল ঘোষণা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে কোহলির অবসর নিয়ে মুখ খোলেন আগরকর। তিনি বলেন, “বিরাট এপ্রিল মাসের শুরুতে আমাদের জানিয়েছিল।” অর্থাৎ, অবসর ঘোষণার প্রায় দেড় মাস আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। এত দিন পরে তা জানা গেল।
কোহলির সিদ্ধান্তকে বোর্ড সম্মান জানিয়েছে। আগরকর বলেন, “বিরাট যে ক’টা বল খেলেছে তার প্রত্যেকটায় ওকে ২০০ শতাংশ দিতে দেখেছি। এমনকি, যখন ও মাঠে ফিল্ডিং করেছে তখনও নিজের সবটা দিয়েছে। ওর মনে হয়েছে, নিজের সবটা ও টেস্ট ক্রিকেটে দিয়ে ফেলেছে। এর পরে খেললে আর সেটা করতে পারবে না। তাই ও সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতেই হত।”
গত অস্ট্রেলিয়া সফর চলাকালীন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কোহলির কয়েক দিন আগেই লাল বলের ক্রিকেটকে ‘অলবিদা’ জানিয়েছেন রোহিত শর্মাও। তিন জনকে ছাড়া ইংল্যান্ডে নামতে হবে ভারতকে। এই তিন জনের অভাব পূরণ করা যে সহজ নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আগরকর। তিনি বলেন, “যখন রোহিত, বিরাট, অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার অবসর নেয় তখন একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়। তা ভরাট করা সহজ নয়। ওরা ক্রিকেটের বড় বড় নাম। তবে একে অন্য ভাবেও দেখা যায়। ওরা না থাকায় অন্যদের কাছে সুযোগ বাড়ল। অন্য কেউ নজর কাড়তে পারে। আমার ওদের তিন জনের সঙ্গেই কথা হয়েছে। ওরা নিজেরাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
আরও পড়ুন:
গত বছর ঘরের মাটিতে নিউ জ়িল্যান্ড ও তার পরে অস্ট্রেলিয়া সফরে রান পাননি রোহিত, বিরাট। বিশেষ করে রোহিতের হাল আরও খারাপ ছিল। তখনই দু’জনের অবসরের জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফর চলাকালীন রোহিত জানিয়ে দেন, এখনই অবসরের কথা ভাবছেন না। যদিও বোর্ড তাঁর ক্ষেত্রে কিছুটা কড়া হয়েছে। রোহিতকে নাকি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ইংল্যান্ড সফরে তাঁকে অধিনায়ক না-ও রাখা হতে পারে। তার পরেই আচমকা অবসর ঘোষণা করেন রোহিত। তাঁর বদলে শুভমন গিলকে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়েছে।
কোহলিকে অবশ্য বোর্ড চাপ দেয়নি। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি, অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বোর্ড তাঁকে ভেবে দেখারও পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ মানেননি কোহলি। নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি। কোহলি যে তাড়াহুড়ো করে অবসর নেননি, প্রায় দেড় মাস ধরে ভেবেছেন, তা আগরকরের কথা থেকেই স্পষ্ট।