ইডেনের পিচে ১২৪ রান তাড়া করে জিততে পারেনি ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে গুটিয়ে গিয়েছে ৯৩ রানে। ম্যাচের পর ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ঋষভ পন্থ স্বীকার করে নিলেন, ম্যাচ হেরে কোনও অজুহাত দিতে চান না তাঁরা। নিজেদের দোষেই হেরে গিয়েছেন। এই ম্যাচে চাপ সামলাতে পারেননি তাঁরা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে পন্থ বলেন, “এ রকম একটা ম্যাচের পর খুব একটা কিছু বলার থাকে না। আমাদের এই রান তাড়া করা উচিত ছিল। চাপ ক্রমশ বেড়েই গিয়েছে। আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। পিচ থেকে বোলারেরা সাহায্য পেয়েছে।”
ইডেন টেস্টে হারলেও গুয়াহাটিতে যে তাঁরা শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন সেই আশ্বাসও শুনিয়ে গিয়েছেন পন্থ। বলেছেন, “এই পিচে ১২০ রান তোলা একটু কঠিন ছিল ঠিকই। তা সত্ত্বেও বলছি, আমাদের এই চাপ সামলে নিয়ে সুযোগ কাজে লাগানো দরকার ছিল। কোথায় কোথায় উন্নতি করতে হবে সেটা নিয়ে এখনও ভাবার সুযোগ পাইনি। তবে নিশ্চিত ভাবেই শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।”
ভারতের হারের নেপথ্যে রয়েছে অষ্টম উইকেটে টেম্বা বাভুমা এবং করবিন বশের জুটি। তাঁরা ৪৪ রান যোগ করেন। সেটাই যে তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন পন্থ। বলেছেন, “সকালে টেম্বা এবং বশ একটা দারুণ জুটি গড়েছিল। ওই জুটিই শেষ পর্যন্ত আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।”
ইডেনে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত ভেবেছিল, রবিবার প্রথম ঘণ্টাতেই প্রোটিয়াদের বাকি তিনটি উইকেট ফেলে ম্যাচ অনায়াসে জিতে নেবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে পাল্টা লড়াই করেন বাভুমা। প্রায় একার হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসকে টানতে থাকেন এবং ১৫০ পার করিয়ে দেন। ১৩৬ বল খেলে বাভুমা অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। মাত্র চারটি চার মেরেছেন। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার, তিনি কোনও ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটেননি। ধীরেসুস্থে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন:
ফলে ১২৪ রানও ভারতের কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৯৩ রানেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় ভারতের। একমাত্র ওয়াশিংটন সুন্দরের (৯২ বলে ৩১) ইনিংস বাদে ভারতের কোনও ব্যাটারেরই রান বলার মতো নয়। চাপের মুখে অক্ষর পটেল (১৭ বলে ২৬) চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে বেশি দূর টানতে পারেননি।