আর একটু হলেই হেরে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যে ম্যাচ অজিঙ্ক রাহানেদের হাসতে হাসতে জেতা উচিত ছিল, সেই ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে শেষ বলে। কোনও রকমে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়েছে কলকাতা। ১ রানে জিতেছে তারা। কী ভাবে তাঁরা জিতলেন, ম্যাচ শেষে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেকেআরের অধিনায়ক রাহানে।
কলকাতার বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে ২০৭ রান তাড়া করতে নেমে এক সময় ৭১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল রাজস্থানের। সেখান থেকে অধিনায়ক রিয়ান পরাগ দলকে খেলায় ফেরান। ৪৫ বলে ৯৫ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ২২ রান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার শুভম দুবের তিনটি বড় শট খেলা জমিয়ে দেয়। শেষ বলে দরকার ছিল ৩ রান। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন জফ্রা আর্চার। ১ রানে জেতে কলকাতা।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে ভাল ফিল্ডিং করেছে কলকাতা। বিশেষ করে বলতে হয় রিঙ্কু সিংহের কথা। দু’টি নিশ্চিত চার বাঁচান তিনি। ভাল ক্যাচ ধরেন রাহানে নিজে। সেই ফিল্ডিংয়ের কথাই টেনে এনেছেন রাহানে। ম্যাচ শেষে কেকেআর অধিনায়ক বলেন, “ফিল্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। ১০-১২ রান বাঁচিয়েছি আমরা। ভাল ক্যাচ ধরেছি। রান আউট করেছি। এগুলোই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।” রাহানের কথা থেকে স্পষ্ট, এই জয়ের কৃতিত্ব ফিল্ডারদের দিয়েছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত যে তাঁরা জিতেছেন তাতেই খুশি রাহানে। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত জিতেছি। আমি খুশি। যখন আপনি কোনও ম্যাচ এক বা দু’রানে জেতেন তখন আরও বেশি আনন্দ হয়।” ব্যাট করতে নেমে একই ছন্দে রান করেনি কেকেআর। পাওয়ার প্লে-তে রান করেছে তারা। মাঝের ওভারে সাবধানে খেলেছে। শেষটা করেছে ঝড়ের গতিতে। সেই রকম পরিকল্পনা করে তাঁরা নেমেছিলেন বলে জানিয়েছেন রাহানে। তাঁর কথায়, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো। মাঝে সাবধানে খেলে শেষ দিক আবার দ্রুত রান করা। সেটা করতে পেরেছি।”
আরও পড়ুন:
রাজস্থানের বিরুদ্ধে ২০৬ রান করার কৃতিত্ব তিন জনকে দিয়েছেন কেকেআর অধিনায়ক। তিনি নিজেও ৩০ রান করেছেন। কিন্তু নিজের নাম করেননি রাহানে। তিনি বলেন, “শুরুতে গুরবাজ় ভাল খেলেছে। মাঝে রঘুবংশী দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেছে। আর শেষ দিকে রাসেল দেখিয়েছে ও কী করতে পারে। এই জয় দলের সকলের জয়। সকলে মিলে জিতেছি আমরা।”
এই জয়ের ফলে আইপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে এখনও টিকে রয়েছে কেকেআর। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট তাদের। বাকি আর তিনটি ম্যাচ। সেই তিনটি ম্যাচ জিতলে প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে গত বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নদের। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে তারা।