বাঁচিয়ে দিল বৃষ্টি। অবশেষে ১ পয়েন্ট এল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরে।
পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ১১২ রান তাড়া করে জিততে পারেননি অজিঙ্ক রাহানেরা। ৯৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল কেকেআরের ইনিংস। ফলে শনিবার ইডেনে ২০২ রান তাড়া করে রাহানেরা ম্যাচ জিতবেন এমন নিশ্চয়তা ছিল না। গত কয়েকটি ম্যাচে কেকেআরের ব্যাটিংয়ের যে হাল দেখা গিয়েছে, তাতে অতি বড় সমর্থকও ভাল কিছু আশা করার ভরসা পাবেন না।
আসলে অন্ধ প্রেমের মাসুল দিয়ে যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্যারিবিয়ান প্রেম। আন্দ্রে রাসেল অতীতের ছায়া। সুনীল নারাইনও প্রায় তাই। অথচ ‘কিংবদন্তি’ করে দেওয়া দুই ক্রিকেটারকে ছাড়া প্রথম একাদশ ভাবতে পারছেন না কেকেআর কর্তৃপক্ষ। জঘন্য ফিল্ডিং। জঘন্য ব্যাটিং। বোলিংও সাধারণ মানের। তবু দু’জনকে খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও কেকেআরের দুর্বলতা প্রকট। বাঁধা গতে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন রাহানে। বোলিং পরিবর্তন বা ফিল্ডিং সাজানো – কোনও ক্ষেত্রেই ভাবনাচিন্তার ছাপ নেই। প্রথম একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও মুনশিয়ানা দেখাতে পারছে না কলকাতা।
শনিবার পঞ্জাবও সহজে ব্যাটিং করে গেল। ব্যাটারেরা যেমন রান পাচ্ছেন না, বোলারেরাও উইকেট পাচ্ছেন না। প্রতিপক্ষ দলের ওপেনিং জুটি ভাঙতেই হিমশিম খাচ্ছে কেকেআর। এ দিনও পঞ্জাবের ইনিংসের ১১.৫ ওভারে প্রথম উইকেট পেল কেকেআর। তত ক্ষণে ১২০ রান তুলে ফেলে পঞ্জাব। কলকাতাকে প্রথম সাফল্য দিলেন রাসেল। তবু তাঁকে বোলিং আক্রমণে রাখা হল না। আগের কয়েকটি ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটেছে। দলের যে যেটুকু পারছেন, তাঁর সেটুকুও কাজে লাগাতে পারছেন না অধিনায়ক রাহানে।
পঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য এবং প্রভসিমরন সিংহ ছেলেখেলা করলেন কলকাতার বোলারদের নিয়ে। বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, চেতন সাকারিয়া, বরুণ চক্রবর্তী, নারাইন কেউই তাঁদের দাপট থামাতে পারেননি চেনা ২২ গজে। যদিও পরের দিকে রান তোলার গতি ধরে রাখতে পারেনি পঞ্জাব। অন্তত ২০-২৫ রান আরও করা উচিত ছিল শ্রেয়স আয়ারদের।
আরও পড়ুন:
কেকেআরের ইনিংসের ১ ওভার হওয়ার পর ঝড় শুরু হয়। বৃষ্টি নামে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য আর খেলা শুরু করা যায়নি। রাত ১১টায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পুরো খেলা হলে কেকেআর জিততে পারত কি না সন্দেহ। প্রকৃতির দয়ায় এক পয়েন্ট নিয়ে ইডেন ছাড়লেন রাহানেরা। বেঁচে থাকল প্লে-অফ খেলার আশা।