(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই একটা সময় হৃদ্যন্ত্রে কম্পন ধরে যেত ভারতীয় সমর্থকদের। কিন্তু শেষ দু’বছরে ছবিটা একেবারে পাল্টে গিয়েছে। গত দুই বিশ্বকাপেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে তাদের হারায় ভারত। রবিবার চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুলের ১৬৫ রানের জুটির সৌজন্যে ভারত জেতে ছ’উইকেটে। বিশ্বকাপে ভারতের চতুর্থ উইকেটে যা সর্বাধিক রানের জুটি।
মাত্র ১৫ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন কোহলি। রাহুল ৯৭ রানে আটকে যাওয়ায় বোধহয় কিছুটা হতাশই হয়েছেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে বলে গেলেন, ‘‘শেষ শটটা একটু বেশিই ভাল মেরে দিয়েছি। ভেবেছিলাম একটা চার ও একটা ছয় মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছব। কিন্তু কী আর করা যাবে। সেঞ্চুরির এইখিদেটা থেকে যাবে।’’
রাহুল যখন ব্যাট করতে আসেন, তখন ভারতের স্কোর ২-৩। বিরাট ও রাহুলের কাছে কাজটা ছিল ভয়ঙ্কর কঠিন। ১২ রানের মাথায় বিরাটের ক্যাচ ফেলে দেন মিচেল মার্শ। সেখান থেকে দু’জনকে আর থামানো যায়নি। রাহুল বলছিলেন, ‘‘বিরাটের সঙ্গে বিশেষ কথা হচ্ছিল না। এত আগে ব্যাট করতে হবে, সেটা বুঝতেই পারিনি। উইকেটকিপিং শেষ করে স্নান করি। ভেবেছিলাম আধ ঘণ্টা বিশ্রাম নেব। দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় তখনই নেমে পড়তে হয়।’’ রাহুল ক্রিজ়ে আসার পরেই তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন প্রাক্তন অধিনায়ক। রাহুলের কথায়, ‘‘বিরাট বলেছিল টেস্টের মতো খেলো। শুরুর দিকে পেসাররা কিছুটা সাহায্য পাচ্ছিল। শেষ দিকে শিশির কিছুটা সাহায্য করে আমাদের। তবুও কোনও বল দ্রুত আসছিল, কোনও বল থমকে যাচ্ছিল। ব্যাট করার আদর্শ উইকেট এটা ছিল না।’’
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘‘জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে ভাল লাগছে। বোলিং ও ফিল্ডিং বিভাগ অসাধারণ ছন্দে ছিল।’’ রোহিত জানিয়েছেন দু’রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তিনি রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। অধিনায়কের কথায়, ‘‘প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে বিরাট ও রাহুলের জবাব নেই। উইকেট কামড়ে পড়ে থেকে ম্যাচ বার করে এনেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy