ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০৫ রান তাড়া করতে নেমে বেশ ভালই এগোচ্ছিলেন রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল। সেই সময়েই তাল কাটল কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে। একটি দিকের ফ্লাডলাইট নিভে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলা। প্রায় ৩৫ মিনিট পর শুরু হল খেলা। প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সাজঘরে ফিরে যান ক্রিকেটারেরা। সমর্থকেরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ছন্দ নষ্ট হওয়ায় খুশি হতে পারেননি রোহিত শর্মাও।
সপ্তম ওভারে সাকিব মাহমুদের প্রথম বলে একটি রান নেন শুভমন। তার পরেই বরাবাটির একটি ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। ভারতের স্কোর তখন ৪৮/০। প্রথমে পোস্টের দু’-তিনটি আলো জ্বলছিল। একটা সময় পুরোটাই বন্ধ হয়ে যায়। আম্পায়ারেরা সাময়িক সময়ের জন্য খেলা বন্ধ রাখেন। আলো জ্বালানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা হতে থাকে। একটা সময় সব আলো জ্বলেও যায়। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত যেতে না যেতেই পুরো পোস্টের আলো আবার বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আম্পায়ারেরা ক্রিকেটারদের অনুরোধ করেন ডাগআউটে ফিরে যাওয়ার জন্য। তবে রোহিত তাতে একেবারেই খুশি হতে পারেননি। তিনি বার বার খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। যদিও আম্পায়ারেরা সে অনুরোধ শোনেননি। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর হতাশ রোহিত এবং শুভমন ডাগআউটে ফিরে যান।
আরও পড়ুন:
এমন সময় বিরাট কোহলিও মাঠের ধারে এসে অনুশীলন করেন। কিছু ক্ষণ পরে তিনিও ফিরে যান ডাগআউটে। রোহিতকে সেখানেও থামানো যাচ্ছিল না। বার বার হতাশায় মাথা নাড়াচ্ছিলেন। কিছু ক্ষণ পর হাসি ফেরে রোহিতের মুখে। ডাগআউটে কোহলি, ঋষভ পন্থ, শুভমন, অর্শদীপ সিংহেরা আড্ডা মারতে থাকেন।
বরাবাটি স্টেডিয়ামের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ওই ফ্লাডলাইটের সঙ্গে যে জেনারেটরটি সংযুক্ত ছিল সেটি বিগড়ে যায়। বিকল্প জেনারেটর হাতের কাছেই ছিল। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বদলানোর জন্য কিছুটা সময় লেগেছে। তাই দেরি হয়েছে।”
এখানেই শেষ হয়নি রোহিতের বিরক্তি। আলো জ্বলার সময় খেলা শুরু হতে যাওয়ার সময় বিকট শব্দে গান চলছিল স্টেডিয়ামে। রোহিত সঙ্গে সঙ্গে গান বন্ধ করতে বলেন। বরাবাটি স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে গিয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার দর্শক।