পাশাপাশি বসে থাকলেও মতবিরোধ হচ্ছিল তাঁদের। অন্তত খালি চোখে তেমনটাই মনে হচ্ছিল। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন দলের মেন্টর জাহির খানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে অধিনায়ক ঋষভ পন্থের। তার পরেই সেই ভিডিয়ো ভাইরাল। তবে কি লখনউ সুপার জায়ান্টসের অন্দরমহলে আবার অশান্তি শুরু হয়েছে? ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত কি মানতে পারেননি পন্থ?
দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লখনউয়ের একের পর এক উইকেট পড়লেও পন্থকে মাঠে নামতে দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে সাত নম্বরে নামেন তিনি। ইনিংসের শেষ দুই বল খেলেন। শূন্য রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ডাগ আউটে ফেরার পরেই জাহিরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন পন্থ। পাশাপাশি চেয়ারে বসে থাকলেও দেখে বোঝা যাচ্ছিল, মতের মিল হচ্ছিল না তাঁদের। জাহির কিছু বলছিলেন। পাল্টা পন্থ কিছু বলছিলেন। পন্থকে বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। কখনও হাত নাড়ছিলেন তিনি। কখনও মাথা।
দু’জনকে দেখে ধারাভাষ্যকারেরাও নানা রকম বিশ্লেষণ করেন। তাঁরা কী কথা বলছিলেন, তা শোনা না গেলেও একটা বিষয় স্পষ্ট, মতবিরোধ হয়েছে তাঁদের। সম্ভবত পন্থ অত নীচে নামতে চাইছিলেন না। তিনি আরও উপরে নামতে চাইছিলেন। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট হয়তো ফর্মে থাকা আব্দুল সামাদ, আয়ুষ বদোনিদের আগে নামাতে চাইছিল। কিন্তু এই ম্যাচে সামাদ রান পাননি। শেষে নেমে পন্থও পাননি। অর্থাৎ, লখনউয়ের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। সেই কারণেই হয়তো আরও হতাশ ছিলেন পন্থ।
আরও পড়ুন:
ম্যাচের পর পন্থকে প্রশ্নও করা হয়েছিল, কেন সাত নম্বরে নামেন তিনি। লখনউয়ের হয়ে প্রথম বার এতটা নীচে ব্যাট করতে নামেন তিনি। জবাবে পন্থ জানান, দলগত সিদ্ধান্ত ছিল এটা। তাঁরা চেয়েছিলেন, রানের গতি যাতে না কমে। সেই কারণে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের আগে নামানো হয়েছিল। তবে কি পন্থ স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি ফর্মে নেই বলেই দল তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারল না? সেই কারণেই কি জাহিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হল তাঁর?

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এ বারের আইপিএলে আটটি ইনিংসে ১০৬ রান করেছেন পন্থ। ১৩.২৫ গড় ও ৯৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। মাত্র একটি অর্ধশতরান করেছেন। নিলামে ২৭ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছিল লখনউ। আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ফর্মে নেই। সেই কারণেই কি আরও বেশি মেজাজ হারাচ্ছেন পন্থ? মেন্টরের সঙ্গে বিবাদে জড়াচ্ছেন তিনি? প্রশ্ন উঠছে।