আইপিএলে উইকেট নিয়ে বার বার নোটবুক উৎসব করে সমস্যায় পড়ছেন দিগ্বেশ রাঠী। তাঁর ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমন উৎসবের কারণ কী? জানালেন দিগ্বেশের দাদা সানি।
শাস্তি পেলেও কেন নোটবুক উৎসব পাল্টাননি দিগ্বেশ? ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে তাঁর দাদা বলেন, “আমি দিগ্বেশকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ও জানিয়েছে, এই উৎসব ওকে উৎসাহ দেয়। ভাল খেলতে উজ্জীবিত করে। আমি ওকে বলেছি, তোমার ভাল লাগলে এই উৎসব করো, কিন্তু কোনও ক্রিকেটারকে অসম্মান করো না। নজর কাড়ার জন্য এমন উৎসব করছে না দিগ্বেশ। সমাজমাধ্যমও ব্যবহার করে না ও। হোয়াট্সঅ্যাপে স্টেটাসও দেয় না। দিগ্বেশ বলে, স্টেটাস না থাকলে স্টেটাস দেওয়ার মানে নেই।”
দিগ্বেশের জন্ম দিল্লিতে। বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলতেন তিনি। উইকেটরক্ষক বিজয় দাহিয়া এমনই একটি ম্যাচে তাঁকে দেখতে পান। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে দক্ষিণ দিল্লি সুপারস্টারজ়ের হয়ে খেলছিলেন দিগ্বেশ। গত বছর ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দেন ৩০ লক্ষ টাকায়। সানি বলেন, “দিল্লির বিভিন্ন দল থেকে ডাক পেত। যে দলে জায়গা পেত, সেই দলের হয়েই খেলত। এক সময় পীরাগরির এক অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু সেখানে ওকে দু’বছর বসিয়ে রাখে। পরে দাহিয়া ওকে দেখে একটা ক্লাব ম্যাচে। মোরি গেট অ্যাকাডেমিতে নিয়ে যায় দিগ্বেশকে।”
আরও পড়ুন:
দিগ্বেশের ডাক নাম ববি। তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্র দুই ছেলের নাম রেখেছিলেন সানি এবং ববি। তৃতীয় ছেলের নাম রাখেন হ্যাপি। সানি বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন। ভাল খেলতেনও। কিন্তু বাবা ধর্মেন্দ্রর পক্ষে দুই ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর সামর্থ্য ছিল না। তাই বড় ছেলে সানি নিজেই ক্রিকেট থেকে সরে আসেন। ভাইকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। সানি এখন পুলিশ কনস্টেবল। দাদা জানেন, ভাই পরিশ্রম করেছে বলেই এখন এই পর্যায় ক্রিকেট খেলতে পারছে।