এক ম্যাচের জন্য নির্বাসিত দিগ্বেশ রাঠী। লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্পিনার সোমবার অভিষেক শর্মাকে আউট করে তাঁকে মাঠ ছাড়তে বলেছিলেন। তার জন্যই এক ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে তাঁকে।
এ বারের আইপিএলেই প্রথম বার খেলছেন দিগ্বেশ। ব্যাটারকে আউট করে নোটবুকে নাম লেখার উৎসব করেন তিনি। যার জন্য বার বার জরিমানা দিতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু থামেননি দিগ্বেশ। তিনি একই ভাবে উৎসব করে গিয়েছেন। এ বার মাত্রা ছাড়িয়ে তিনি ব্যাটারকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। সেই কারণে তাঁকে নির্বাসিত করল বোর্ড।
হায়দরাবাদের ইনিংস চলাকালীন চালিয়ে খেলছিলেন অভিষেক। মাত্র ১৮ বলে অর্ধশতরান করেন। অষ্টম ওভারে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ বল দিয়েছিলেন দিগ্বেশের হাতে। তৃতীয় বলে অভিষেককে আউট করেন দিগ্বেশ। বিতর্ক শুরু এর পরেই। অভিষেকের দিকে হাত নাড়িয়ে তাঁকে দ্রুত মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন দিগ্বেশ। এর পর ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ও করেন। এতেই নাটক থামেনি। অভিষেক ফেরার সময় তাঁকে আবারও কিছু বলেন দিগ্বেশ।
আরও পড়ুন:
হায়দরাবাদের ব্যাটার এর পর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি। তিনি দিগ্বেশের দিকে এগিয়ে আসেন। হেলমেট খুলে কিছু বলেন লখনউয়ের স্পিনারকে। পাল্টা কথা বলেন দিগ্বেশও। মনে করা হচ্ছে, লখনউয়ের স্পিনার অভিষেকের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি তো তোমাকে কিছুই বলিনি। তোমার সমস্যা হচ্ছে কেন?’ অভিষেক শুনতে চাননি। তিনি প্রতিবাদ করতে থাকেন।
বিষয়টি আরও দূরে গড়ানোর আগে হস্তক্ষেপ করেন মাঠের দুই আম্পায়ার। তাঁরা দুই ক্রিকেটারকে আলাদা করে দেন। লখনউয়ের ক্রিকেটারেরা এসে সরিয়ে নিয়ে যান দিগ্বেশকে। এক আম্পায়ার এসে অভিষেককে প্রায় ডাগ আউট পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে আসেন। ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময়ও দু’জনকে কথা বলতে দেখা যায়। তখনও অভিষেকের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, তিনি যথেষ্ট বিরক্ত।
এক ম্যাচ নির্বাসিত হওয়া ছাড়াও ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে দিগ্বেশকে। শাস্তি হয়েছে অভিষেকেরও। তাঁর ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ জরিমানা হয়েছে।