যুবরাজ সিংহ। ফাইল ছবি।
খেলোয়াড় জীবনের শেষ দিকে দল বা সংশ্লিষ্টদের থেকে সমর্থন পাওয়া যায় না। অভিযোগ নতুন নয়। বরং বহু ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন সময় এই অভিযোগ করেছেন। এ বার শোনা গেল যুবরাজ সিংহের গলায়।
২০১১ বিশ্বকাপের পর হঠাৎই বদলে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্দরমহলের ছবি। বীরেন্দ্র সহবাগ, ভিভিএস লক্ষ্ণণের মতো ক্রিকেটাররা তখন ক্রিকেট জীবনের শেষ দিকে। সে সময় তাঁরা দল থেকে তেমন সমর্থন পাননি বলেই জানিয়েছেন যুবরাজ সিংহ। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য জানিয়েছেন সকলের ক্ষেত্রেই যে এমন হয়, তা নয়। ব্যতিক্রমও রয়েছে।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল যুবরাজের। তবু ক্রিকেট জীবনের শেষ দিকে প্রত্যাশিত সমর্থন পাননি দল থেকে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যুবরাজের বিরুদ্ধে মন্থর ব্যাটিং করার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওই ইনিংসের পর তীব্র সমালোচিত হতে হয়েছিল তাঁকে। গোটা প্রতিযোগিতাতেই তাঁর উপর দলের পক্ষ থেকে অসম্ভব চাপ দেওয়া হত বলেও অভিযোগ যুবরাজের।
তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় আমার আত্মবিশ্বাস কম ছিল। বাদ যেতে পারি এমনই একটা আবহ তৈরি করে রাখা হয়েছিল দলের মধ্যে। অজুহাত দিতে চাই না। কিন্তু কঠিন সময়ে দলের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন আমি পাইনি। গ্যারি কারস্টেনের সময়ের থেকে ডানকান ফ্লেচারের সময়ে দলের পরিবেশ অনেক বদলে গিয়েছিল।’’
ফাইনালের ২১ বলে ১১ রানের ইনিংস নিয়ে যুবরাজ বলেছেন, ‘‘ফাইনালে আমি ঠিক মতো বল মারতে পারছিলাম না। অফ স্পিনারের বিরুদ্ধে মারার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিক মতো হচ্ছিল না। ডট বল হয়ে যাচ্ছিল। আউট হওয়ার চেষ্টা করেও পারিনি। এর পর সকলেই ভেবেছিল আমার ক্রিকেট জীবন শেষ। এটাই জীবন। আপনাকে মেনে নিতেই হবে। জয় এবং পরাজয় সমান ভাবে গ্রহণ করেই এগিয়ে যেতে হয়।’’
নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানানোর পরেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রসঙ্গ তুলেছেন যুবরাজ। তাঁর দাবি, ধোনির মতো কেউ কেউ ভাগ্যবান থাকেন যাঁরা ক্রিকেট জীবনের শেষেও দলের থেকে প্রচুর সমর্থন পান। সকলেই তাঁর পাশে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy