নিজের শহরে সম্মান পেয়েছেন রোহিত শর্মা। তাঁর নামে স্ট্যান্ড হয়েছে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। স্ট্যান্ড হওয়ার খবর শুনে বাবা-মায়ের কাছে বিশেষ আবদার করেছিলেন রোহিত। সে কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দিভেচা প্যাভিলিয়নের লেভেল থ্রি রোহিতের নামে করা হয়েছে। খেলতে খেলতে এই সম্মান সব ক্রিকেটার পান না। রোহিত তা আদায় করে নিয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন এই বিশেষ দিনের সাক্ষী থাকুন তাঁর বাবা-মা। তাই তিনি তাঁদের কাছে আবদার করেছিলেন। রোহিত বলেন, “বাবা-মাকে বলেছিলাম, ওয়াংখেড়েতে আমার নামে স্ট্যান্ড হবে। আমি চাই উদ্বোধনের দিন তোমরা সেই স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখো। বাবা-মা আমার সেই আবদার রেখেছে। এতেই আমি খুশি।”
রোহিত জানিয়েছেন, তাঁর বাবা-মা মাঠে বসে তাঁর খেলা খুব একটা দেখেন না। তাঁরা টেলিভিশনের পর্দায় পুত্রের খেলা দেখতেই ভালবাসেন। মাঠে গেলে চাপে পড়ে যান তাঁরা। রোহিত বলেন, “স্টেডিয়ামে গেলে আমার বাবা-মা চাপে পড়ে যায়। ওরা মাঠে বসে আমার খেলা দেখতে ভালবাসে না। টেলিভিশনেই দেখে। তবে আমি এর আগে দু’বার ওদের মাঠে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। ভারতের হয়ে আমার অভিষেক ম্যাচ ও ভারতের অধিনায়ক হিসাবে ওয়াংখেড়েতে আমার প্রথম ম্যাচে বাবা-মা মাঠে ছিল।”
আরও পড়ুন:
মুম্বইয়ের রাস্তায় ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছেন রোহিত। তাই তাঁকে যখন ভক্তেরা ‘মুম্বইয়ের রাজা’ বলেন তখন তিনি বিষয়টি হালকা ভাবে নেন না। উল্টে আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা ভাবেন। রোহিত বলেন, “ওদের এই ভালবাসা, এই সম্মান আমি কখনওই হালকা ভাবে নিই না। আমি চেষ্টা করি ওদের এই সম্মান ফিরিয়ে দিতে। আরও ভাল খেলতে। ওদের মুখে আরও হাসি ফোটাতে। আমি শুধু ভাবি কোথায় ছিলাম আর কোথায় পৌঁছেছি।”
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম রোহিতের মনে অনেক বড় জায়গা নিয়ে আছে। এই মাঠেই ভারতের অধিনায়ক হিসাবে প্রথম বার নেমেছিলেন তিনি। দেশের অধিনায়ক হিসাবে প্রথম আইসিসি ট্রফি (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) জিতে ফিরে এই মাঠেই উল্লাস করেছেন। অথচ এক সময় এই মাঠে ঢোকার অনুমতি পেতেন না তিনি। সেই দিনের কথাও মনে পড়ে রোহিতের। তিনি বলেন, “ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আমাকে সব কিছু দিয়েছে। অথচ ২০ বছর আগে এই স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি ছিল না। এখন এখানে আমার নামে একটা স্ট্যান্ড রয়েছে। এই মাঠেই আমি পরিশ্রম করেছি। ঘাম ঝরিয়েছি। অনেক বকাও খেয়েছি। আবার অনেক সম্মান, গর্বের সাক্ষী থেকেছে এই মাঠ। তাই সেখানে আমার নাম থাকা আমার কাছে খুবই সম্মানের।”
এ বারের আইপিএলে শুরুতে রোহিতের ব্যাটে রান ছিল না। তাঁকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলাচ্ছিল মুম্বই। প্রথম ছ’টি ম্যাচে ৫৬ রান করেছিলেন তিনি। পরের চারটি ম্যাচে রোহিত করেছেন ১৮৪ রান। তার মধ্যে দু’টি অর্ধশতরান রয়েছে। রোহিত ফর্মে ফেরায় মুম্বইও জয়ে ফিরেছে। টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে প্লে-অফের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে মুম্বই।