মহম্মদ শামি। — ফাইল চিত্র।
বল হাতে কার্যত একার কৃতিত্বে ভারতকে সেমিফাইনালে তুলেছেন মহম্মদ শামি। সেমিফাইনালে ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপে ২৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির দৌড়েও তিনি। এ হেন শামিকে পেরোতে হয়েছে অনেক বাধাবিপত্তি। শুধু ক্রিকেট মাঠে নয়, মাঠের বাইরে ব্যক্তিজীবনেও। স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। শামির ছোটবেলার কোচ বদরুদ্দিনের মতে, ব্যক্তিগত ঝামেলাই মানসিক ভাবে শামিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
বিশ্বকাপে শামি প্রায় প্রতি ম্যাচেই সাফল্য পেলেও হাসিনের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি নিয়মিত খেলা দেখছেনও না। কিন্তু শামি মাঠে নেমে ঠিক নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত জীবনে শামির ঝামেলার প্রসঙ্গে বদরুদ্দিন একটি ওয়েবসাইটে বলেছেন, “দেখুন, এ ধরনের ঘটনা প্রত্যেকের জীবনেই আসে। যারা এটাকে সামলাতে পারে, তারাই অনেক দূরে যায়। সাধারণ কোনও মানুষের এটা সামলাতে দু’বছর লাগতে পারে। কিন্তু এক জন ক্রীড়াবিদ ছ’মাসের মধ্যে সামলে নিতে পারে। ব্যক্তিগত ঝামেলাই শামিকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে আমার মত। আমি খুশি যে, এত ঝড় সামলেও ও ফিরে এসেছে।”
শামির ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্পও শুনিয়েছেন বদরুদ্দিন। বলেছেন, “২০০২ সালে প্রথম বার শামির বাবা ওকে নিয়ে সোনকপুর স্টেডিয়ামে এসেছিল। আমাকে বলেছিল আমরোহাতে নাকি ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে শামির বোলিং নিয়ে। আমি শামিকে ওয়ার্ম-আপ করতে বলে ৩০ মিনিট ধরে বল করাই। প্রথম মিনিটে যে বল করেছিল এবং ৩০ মিনিটে যে বলটা করেছিল, দুটোর মধ্যে ফারাক ছিল না। এতটাই নিখুঁত ছিল ওর বোলিং। একই আবেগ নিয়ে বল করে গিয়েছিল। তখন থেকেই ওর দক্ষতা জেনে যাই।”
তিনি আরও বলেন, “সব সময় আমার আগে মাঠে চলে আসত। জুন মাসের তীব্র গরমে ঘামতে ঘামতেও আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করত। অনেক সময় আমরা চিন্তায় পড়ে যেতাম। ওকে পাগল বলতাম। কিন্তু ওর কোনও হেলদোল ছিল না। এই জেদের জন্যে আজ ও এখানে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy