আন্তর্জাতিক সূচির জন্য তিন জন বিদেশি ক্রিকেটারকে আর পাবে না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলির জন্য তাঁদের বিকল্প খুঁজে নিল প্লে-অফের দৌড়ে থাকা পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নেরা। নতুন তিন বিদেশিকে নিতে ৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্ণধার নীতা অম্বানীর।
লিগ পর্যায়ে দু’টি ম্যাচ বাকি রয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যদের। প্লে-অফে উঠলে আরও অন্তত দু’টি ম্যাচ খেলতে হবে তাঁদের। এই ম্যাচগুলিতে খেলতে পারবেন না দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রায়ান রিকেলটন, জোরে বোলার করবিন বশ এবং ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস। তাঁদের পরিবর্ত হিসাবে মুম্বই দলে নিয়েছে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো, জোরে বোলার রিচার্ড গ্লেসন এবং শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক চরিথ আশালঙ্কাকে। মুম্বই কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে বেয়ারস্টোকে নিতে। তাঁর জন্য ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। গ্লেসনকে দলে নেওয়া হয়েছে ১ কোটি টাকা দিয়ে। আশালঙ্কার জন্য খরচ হচ্ছে ৭৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে মুম্বইয়ের।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ পরিস্থিতির জন্য এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখতে হয় আইপিএল। পূর্ব নির্ধারিত ২৫ মে-র পরিবর্তে ফাইনাল হবে ৩ জুন। আইপিএলের নতুন সূচির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ। মে-র শেষ থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সাদা বলের সিরিজ়। ৩ জুন থেকে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ জুন থেকে তারা টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। তা ছাড়া ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জন্যও কিছু বিদেশি ক্রিকেটার এখন আইপিএল খেলতে আসতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও ক্রিকেটারকে পাওয়া না গেলে, তাঁর পরিবর্ত নিতে পারবে দলগুলি। পরিবর্ত ক্রিকেটার নেওয়া যাবে শুধু এ বছরের বাকি ম্যাচগুলির জন্য অস্থায়ী ভাবে। এই নিয়মের সুযোগে বেয়ারস্টো, গ্লেসন এবং আশালঙ্কাকে সই করিয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষ।