Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশের ক্রিকেটে অস্থিরতা, নেতৃত্বে থাকতে শর্ত চাপালেন শান্ত, চুক্তিতে থাকতেই চান না মাহমুদুল্লা

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁকে আটকান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৯
Picture of Najmul Hossain Shanto and Mahmudullah

(বাঁ দিকে) নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মাহমুদুল্লা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশের নেতৃত্ব ছাড়তে চাইছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতার পর মত পরিবর্তন করেছেন তিনি। তবে তাঁর কিছু শর্ত রয়েছে। পূর্ণ স্বাধীনতা পেলে তবেই নেতৃত্ব দেবেন। অন্য দিকে, বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আর থাকতে রাজি নন মাহমুদুল্লা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের পর শান্তকে অধিনায়ক করা হয়েছিল পরিস্থিতির চাপে। তৎকালীন অধিনায়ক শাকিব আল হাসান চোখের সমস্যার জন্য ক্রিকেট থেকে কিছু দিন দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অস্থায়ী ভাবে অধিনায়ক করা হয় শান্তকে। পরে তাঁকেই স্থায়ী দায়িত্ব দেয় বিসিবি। যদিও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন শান্ত। তাঁকে আটকান বিসিবি নতুন সভাপতি ফারুখ আহমেদ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শান্ত বলেছেন, ‘‘সমস্যা নিয়ে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে দীর্ঘ এবং ভাল আলোচনা হয়। আমার সমস্যার কথা বলি। তিনিও তাঁর বক্তব্য বলেন। বোর্ড সভাপতি ইতিবাচক ভাবে নিয়েছিলেন সবটা। আমাকে বোঝান। নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে রাজি করেন।’’ বোর্ড সভাপতির সঙ্গে সেই বৈঠকে অধিনায়ক হিসাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিলেন শান্ত। তাঁর শর্তে রাজি হন ফারুখও। তা নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘‘পুরো না হলেও বোর্ড সভাপতি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কথা রেখেছেন। সত্যি বলতে কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে আমার এখন আর কোনও বাধা নেই। আশা করব, অধিনায়কের জন্য আগামী দিনেও এই সুবিধাটা বজায় থাকবে।’’

আপনি কি আর দায়িত্বে থাকবেন না? সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর দেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। শান্ত বলেছেন, ‘‘বোর্ড এখনও আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এটা ওদের বিষয়। আমাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী অধিনায়ক হিসাবে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অধিনায়কত্ব উপভোগও করেছি। এখন বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ টুকু বলতে পারি, যাই সিদ্ধান্ত হোক আমার সমর্থন থাকবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটাও বজায় থাকুক।’’

অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে শান্ত দোলাচলে থাকলেও আর বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহমুদুল্লা। বিসিবি চুক্তির যে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে অভিজ্ঞ ব্যাটারের নাম রয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। এই বিভাগের ক্রিকেটারেরা মাসে ৬ লাখ টাকা পাবেন বেতন হিসাবে। নিজের সিদ্ধান্ত বোর্ডকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। ফলে মার্চ থেকে তিনি আর চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার থাকছেন না। ফলে ২২ জনের পরিবর্তে বিসিবির চুক্তিতে থাকবেন ২১ জন। অন্য দিকে, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নাম থাকা আর এক সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর তিনি এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। শুধু টেস্ট খেলবেন বাংলাদেশের হয়ে। তাই তাঁর মাসিক বেতন (৮ লাখ থেকে কমিয়ে ৬ লাখ) কমার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।

Mahmudullah Najmul Hossain Shanto BCB
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy