শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপে জিততে ভুলে গিয়েছে বাংলাদেশ। এ বার ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের কাছেও হারতে হল শাকিব আল হাসানদের। প্রথমে ব্যাট করে ২২৯ রান করেছিল নেদারল্যান্ডস। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে হিমশিম খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটারেরা। পুরো ব্যাটিং আক্রমণ ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ৮৭ রানে হারতে হল শাকিবদের।
বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেনে এই প্রথম ম্যাচ হচ্ছে। সেখানে দেখা গেল, পুরো ম্যাচ জুড়েই সাহায্য পেলেন বোলারেরা। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের অন্যন্য ম্যাচে যেমন ব্যাটারদের দাপট দেখা যাচ্ছে, তেমনটা দেখা যাবে না এই মাঠে। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের বোলারেরা সাহায্য পেলেন। মূল লড়াই হল ব্যাটারদের। সেখানেই শাকিবদের টেক্কা দিলেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটারেরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস। শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। ৩ ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার আউট হয়ে যান। দলের হার ধরেন ওয়েসলি বারেসি। তাঁকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। দু’জনে মিলে দলের রান টেনে নিয়ে যান। ৪১ করে আউট হন বারেসি।
মাঝের ওভারে পর পর উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় নেদারল্যান্ডস। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল ২০০ করতেই সমস্যায় পড়বে তারা। ঠিক তখনই আবার অধিনায়কের ইনিংস করেন এডওয়ার্ডস। তাঁকে সঙ্গে দেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট। এডওয়ার্ডস আরও একটি অর্ধশতরান করেন। ৬৮ রান করে আউট হন তিনি। এঙ্গেলব্রেখট করেন ৩৫ রান।
শেষ ওভারে কয়েকটি বড় শট মারেন লোগান ভ্যান বিক। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ২২৯ রান করে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদি হাসান ২টি করে উইকেট নেন। ১ উইকেট নেন শাকিব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। লিটন দাস, তানজিম হাসান রান পাননি। ভরসা ছিল শাকিবের উপর। কিন্তু আরও এক বার হতাশ করলেন তিনি। ৫ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। কিছুটা খেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩৫ রান করেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আরও এক বার একা হয়ে যান সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাহমুদুল্লা। দলের হার বাঁচাতে একাই লড়তে হত তাঁকে। সঙ্গে কোনও ব্যাটারকে পাননি তিনি। মাহেদিকে সঙ্গে নিয়ে চেষ্টা করেন তিনি। কয়েকটি বড় শটে ব্যবধান কমে। বাংলাদেশের সমর্থকেরা আশা করেছিলেন আগের ম্যাচের মতো আরও একটি ইনিংস দেখতে পাবেন মাহমুদুল্লার ব্যাট থেকে। কিন্তু পারেননি তিনি। ২০ রান করে আউট হন। তার সঙ্গেই বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে মুস্তাফিজুর ও তাসকিন কিছুটা লড়াই করেন। তাতে অবশ্য হার বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪২.২ ওভারে ১৪২ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy