ইংল্যান্ডের ‘দ্য হান্ড্রেড’ লিগে সুযোগ পেলেন না কোনও পাকিস্তানি ক্রিকেটার। নাম দিয়েছিলেন ৫০ জন। কিন্তু ড্রাফ্টে কোনও ক্রিকেটারকেই নিল না দলগুলি। ইংল্যান্ডের এই লিগে দলগুলির মালিকানা ভারতীয় শিল্পপতিদের হাতে। সেই জন্যই কি সুযোগ পেলেন না পাকিস্তানের কেউ?
পাকিস্তানের পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটার মিলিয়ে ৫০ জন দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেট লিগে খেলার জন্য ড্রাফ্টে নাম জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কোনও পাকিস্তানি ক্রিকেটার সুযোগ পেলেন না। মহিলাদের মধ্যে নাম দিয়েছিলেন আলিয়া রিয়াজ, ফাতিমা সানা, ইউসরা আমির, ইরাম জাভেদ এবং জেওয়ারিয়া রউফ। কিন্তু তাঁদের কোনও দল নেয়নি। অনেকে বলছেন, তাঁদের চেয়ে বেশি দক্ষ ক্রিকেটার থাকায় সুযোগ পাননি ফাতিমারা।
পাকিস্তানের পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম ছিল নাসিম শাহের। তরুণ পেসারের দাম ছিল প্রায় ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু কোনও দল নেয়নি তাঁকে। সৈয়ম আয়ুব এবং ইমাদ ওয়াসিম নিজেদের দাম রেখেছিলেন প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। কোনও দলে সুযোগ পাননি তাঁরাও। দল পাননি শাদাব খান, হাসান আলি এবং মহম্মদ হাসনাইনের মতো ক্রিকেটারও।
আরও পড়ুন:
আইপিএলে দল রয়েছে এমন কিছু শিল্পপতি ইংল্যান্ডের লিগের দল কিনেছেন। সেই কারণে অনেকে মনে করছেন যে, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া হয়নি। ২০০৯ সাল থেকে পাক ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
শুধু পাকিস্তানের ৫০ জন ক্রিকেটার নন, দ্য হান্ড্রেড-এ কোনও দল পাননি জেমস অ্যান্ডারসনও। তবে সুযোগ পেয়েছেন আফগানিস্তানের নুর আহমেদ। তাঁকে নিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার অরিজিন্যালস। সঞ্জীব গোয়েন্কা সেই দলের অন্যতম মালিক। দল পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটারেরাও।