পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতর। —ফাইল চিত্র।
বিদেশের ক্রিকেট লিগে নিজেদের ক্রিকেটারদের খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নীতি অনুসরণ করতে পারে পাকিস্তান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মতো পাক বোর্ডও হয়তো ভবিষ্যতে তাদের ক্রিকেটারদের বিদেশের লিগে খেলার অনুমতি না-ও দিতে পারে। কারণ, আমেরিকার মাইনর লিগে খেলতে যাওয়া ১১ জন ক্রিকেটারকে তারা ইতিমধ্যেই শো-কজ় করেছে।
পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটার ফাওয়াদ আলম আমেরিকায় খেলতে গিয়ে সে দেশেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অবসর নিয়ে নেন পাকিস্তানের ক্রিকেট থেকে। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছে পাক বোর্ড। এখন সোহাব মাকসুদ, আরশাদ ইকবাল, হুসেইন তালাত, আলি শাফিক, ইমাদ বাট, উসমান শানওয়ারি, উমেইদ আসিফ, জিশান আশরাফ, সৈয়ফ বদর, মুখতার আহমেদ এবং নওমান আনোয়ার আমেরিকায় খেলছেন। এঁরা সকলেই পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু কেউই আমেরিকায় খেলতে যাওয়ার আগে পাকিস্তান বোর্ডের ছাড়পত্র নেননি।
আলম যদিও বোর্ডকে জানিয়েই গিয়েছিলেন। তিনি ঘুরতে যাওয়ার ভিসা নিয়ে আমেরিকা গিয়েছিলেন। কিছু ক্রিকেটার ঘুরতে যাওয়ার ভিসা নিয়ে আমেরিকা গিয়ে মাইনর লিগে খেলছেন। আলমের শ্বশুর মনসুর আখতার। তিনিও পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। এখন আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই আছেন মনসুর। পাকিস্তানের অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারের আমেরিকার নাগরিকত্ব রয়েছে। সেই তালিকায় রামিজ় রাজার মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারও রয়েছেন।
আমেরিকার মাইনর লিগে খেলতে হলে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিজেদের দেশের বোর্ড থেকে অবসর নিতে হবে। তা না হলে অতিথি ক্রিকেটার হিসাবে খেলা যায়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আশঙ্কা, অনেক ক্রিকেটারই এই পথ নিতে পারে। আমেরিকার মাইনর লিগে খেলতে গিয়ে সে দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে থেকে যেতে পারে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় অনেকেই দেশ ছাড়তে চাইছেন। যদিও পাক ক্রিকেট বোর্ড এর মধ্যেই বাবর আজ়মদের বার্ষিক আয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy