Advertisement
E-Paper

প্রত্যাশা ছাপিয়ে আয় পাকিস্তানের, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে কতটা লাভবান হল ক্রিকেট বোর্ড?

ক্রিকেট দলের টানা ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হয় পাকিস্তানের সংসদে। উঠে আসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের প্রসঙ্গও। তার প্রেক্ষিতে উত্তর দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১৮
picture of ICC champions trophy

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। —ফাইল চিত্র।

ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানের দুর্দশা চলছেই। নিউ জ়িল্যান্ড সফরেও এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে হারতে হয়েছে। টানা ব্যর্থতায় জর্জরিত পাক ক্রিকেট লাভের মুখ দেখল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে। বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ানেরা ব্যর্থ হলেও ‘সফল’ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ড কর্তাদের দাবি, প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে লাভের অঙ্ক।

ক্রিকেট দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে কয়েক দিন আগে আলোচনা হয় পাকিস্তানের সংসদে। নিউ জ়িল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের বিরুদ্ধেও শোচনীয় হারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাংসদেরা। আলোচনায় উঠে আসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের প্রসঙ্গও। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে এই সব প্রসঙ্গে জানতে চায় সংসদ।

উত্তরে পিসিবি জানিয়েছে, প্রাথমিক হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে তাদের ৩০০ কোটি পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা) লাভ হয়েছে। যা প্রত্যাশার থেকে ১০০ কোটি পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৩০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা) বেশি।’’ পিসিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সম্পূর্ণ ভাবে আইসিসির প্রতিযোগিতা। তারাই সব কিছু পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাদের নির্দেশেই সব হয়েছে। কোনও রকম অতিরিক্ত খরচ বা অব্যবস্থা হয়নি। ঠিক কত আয় হয়েছে, তা আইসিসির বার্ষিক হিসাব পরীক্ষার পর বোঝা যাবে।’’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের ব্যর্থতা নিয়ে পিসিবির বক্তব্য, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ সময় আমাদের প্রধান খেলোয়াড়দের কয়েক জনের চোট ছিল। তার প্রভাব পড়েছে দলের ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রে। ক্রিকেটারদের চোট-আঘাতের পরিমাণ কমানো এবং চোট পাওয়া ক্রিকেটারদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’ আরও বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিটি ঘরোয়া ক্রিকেট, ফিটনেস ও আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতার নিরিখে দল তৈরি করে। একটি সিরিজ়ের সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে পরের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।” তবে নিউ জ়িল্যান্ড সফরে দলের ভরাডুবি নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি পিসিবি।

এ ছাড়াও জানানো হয়েছে করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলির সংস্কারের জন্য ১৮০০ কোটি পাকিস্তানি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে। প্রথম দফার সংস্কারের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হয়েছে। পাকিস্তান সুপার লিগের পর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এই কাজের জন্য কোনও রকম বাড়তি খরচ করা হয়নি।

PCB Profit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy