মীরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। সাত উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে লিটন দাসরা এগিয়ে গেলেন ১-০।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। মাত্র ১১০ রানে শেষ হয়ে যায় সলমন আলি আঘাদের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি সিরিজ় বলেই বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ানদের নেওয়া হয়নি। তাঁরা থাকলে এত কম রানে কি শেষ হত পাকিস্তান? বাবার ও রিজ়ওয়ান মন্থর গতিতে খেললেও একটা দিক ধরে রাখতে পারতেন। অন্য প্রান্ত থেকে মারতে পারতেন যে কোনও ব্যাটসম্যান। কিন্তু দুই পাক তারকা না থাকায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং বিভাগ।
নতুন বল হাতে জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার তাস্কিন আহমেদ। পুরনো বলেও দু’টি উইকেট নেন। ৩.৩ ওভার বলে করে মাত্র ২২ রানে তিন উইকেট তাস্কিনের। চার ওভারে মাত্র ছ’রানে দুই উইকেট মুস্তাফিজ়ুর রহমানের। তাঁর বোলিংয়ে খেই খুঁজে না পেয়ে ফিরে যান খুশদিল শাহ ও হাসান নাওয়জ়। একটি করে উইকেট নেন মেহদি হাসান ও তানজ়িম হাসান সাকিব।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান ফখর জ়মানের। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। ২২ রান আব্বাস আফ্রিদির। মাত্র তিন রানে ফিরে যান পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা।
১১১ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৭ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজ়িদ হাসান তামিম ও লিটন দাসকে ফিরিয়ে দেন সলমন মির্জ়া। দু’জনেই আউট হন এক রানে। সেই জায়গা থেকে পারভেজ় হুসেন ইমন ও তৌহিদ হৃদয় ৭৩ রানের জুটি গড়েন। ৩৯ বলে ৫৬ রান করেম্যাচের সেরা ইমন। হৃদয় ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন। এই জুটিই ম্যাচ জিততে সাহায্য করে বাংলাদেশকে। ইমন অপরাজিত থাকলেও আব্বাস আফ্রিদির শিকার হন হৃদয়। ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিতথাকেন জাকের আলি।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে ইমন বলেছেন, ‘‘দল জিতেছে, তাই আমি সব চেয়ে বেশি খুশি। নিজের জন্যও খুশি। কিন্তু দল জেতায় সব চেয়ে বেশি আনন্দ হচ্ছে।’’ যোগ করেন, ‘‘রান তাড়া করার সময় খুব একটা চাপ অনুভব করিনি। আমরা ইনিংস তৈরি করতে চেয়েছিলাম। দ্রুত দু’টি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে সিঙ্গল খেলার চেষ্টা করেছি। ব্যাটে দ্রুত রান আসার পরে আর ভয় পাইনি।’’ মাত্র ১৫.৩ ওভারে তিন উইকেটে ১১২ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা দুষছেন পিচকে। তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে ভাল পিচ হবে তা আশা করা উচিত নয়। যখনই বাংলাদেশে আসি, এই ধরনের পিচে খেলতে হয়। উন্নত পিচ আশা করাই উচিত নায়’’ যোগ করেন, ‘‘আমরা সেটা ভেবেই নেমেছিলাম। সকলে দ্রুত রান করতে চেয়েছিল। কিন্তু বল এত নড়াচড়া করেছে যে রানকরতে পারিনি।’’
পাশাপাশি বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রশংসাও করেছেন সলমন। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা জানে এই ধরনের পিচে কী রকম বল করতে হয়। প্রথম থেকেই ওরা ভাল বল করেছে। যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)