মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে মুনিবা আলির রান আউট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। মাঠ ছাড়তে চাননি মুনিবা। পাক অধিনায়ক ফতিমা সানাও তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে। সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে পাক শিবির।
মুনিবার রান আউট ঘিরে রবিবার ম্যাচ চলাকালীন অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল পাক শিবিরে। ম্যাচের পর ‘বিতর্কিত’ আউট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পাকিস্তানের জোরে বোলার ডায়ানা বেগকে। তাঁকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘‘মুনিবার রান আউট নিয়ে আপনাদের অধিনায়ক আপত্তি জানিয়েছিলেন। আপনাদের দলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে? আপনার কী বক্তব্য ওই আউট নিয়ে?’’ উত্তরে বেগ বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, মুনিবার রান আউট ঘিরে সমস্যাটা মিটে গিয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না। যাই ঘটুক, তাতে যে পরিস্থিতিই তৈরি হয়ে থাকুক, এখন বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’’ বেগ বুঝিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল মুনিবার রান আউট নিয়ে আর এগোতে চায় না। তাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কাছে কোনও অভিযোগ জানাচ্ছেন না।
রবিবার পাকিস্তানের ইনিংসের চতুর্থ ইনিংসে বল করছিলেন ক্রান্তি গৌড়। তাঁর বল মুনিবার প্যাডে লাগে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। আম্পায়ার আউট দেননি। ভারত রিভিউ নেয়নি। রিভিউ নিলে হয়তো আউট হতেন পাক ব্যাটার। কিন্তু সেখানেই ঘটনা থেমে থাকেনি। পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপ্তি শর্মা। তিনি বল ধরে উইকেটে ছোড়েন। বল উইকেটে লাগে। মাঠের আম্পায়ার জানিয়ে দেন, মুনিবা ক্রিজ়েই ছিলেন। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারকে থামিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার কেরিন ক্লাস্তে। তিনি রিপ্লে দেখেন। তাতে দেখা যায়, মুনিবার ব্যাট ক্রিজ়ের ভিতরে থাকলেও ঠিক যে মুহূর্তে দীপ্তির থ্রো উইকেটে লেগেছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই মুনিবার ব্যাট মাটি থেকে উঠে গিয়েছিল। অর্থাৎ, রান আউট হয়েছেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানান।
এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি পাক শিবিরের। প্রতিবাদ জানান পাক অধিনায়ক ফতিমা। চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কও করেন। কিন্তু নিয়ম ব্যাখ্যা করে আম্পায়ার তাঁকে বুঝিয়ে দেন, তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ভুল নেই। ক্রিকেটের নিয়মের ৩০.১.২ ধারা অনুযায়ী, মুনিবা রান নিচ্ছিলেন না বলে আউট হয়েছেন। তিনি যদি রান নিতেন, সে ক্ষেত্রে দৌড়ে বা ঝাঁপিয়ে পপিং ক্রিজ়ের ভিতরে পিচের অংশে ব্যাট ছোঁয়ানোর পর সেটি উঠে গেলে আউট হতেন না মুনিবা। নিয়মটি ঠিক মতো জানা ছিল না পাক অধিনায়ক ফতিমার। চতুর্থ আম্পায়ার তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর আর আপত্তি করেননি তিনি। মুনিবাও মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যান।