আরও এক বার সাংবাদিক বৈঠক বয়কট করেছে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচের আগে পাকিস্তান কেন সাংবাদিক বৈঠক করল না, তার জবাবে ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন পাক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কোনও রকমে চার শব্দে জবাব দিয়েছেন নকভি।
শনিবার দুবাইয়ে আইসিসি-র অ্যাকাডেমিতে পাকিস্তানের অনুশীলনে হাজির ছিলেন নকভি। সেখানেই সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন পাকিস্তান সাংবাদিক বৈঠক বয়কট করল। জবাবে নকভি বলেন, “তাড়াতাড়ি এর জবাব দেব।” তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট, এখনই কিছু বলতে চাইছেন না তিনি। কিন্তু কেন? শোনা যাচ্ছে করমর্দন বিতর্কে শুরু থেকে যে ভাবে পাকিস্তান একের পর এক অভিযোগ করেছে তাতে বিরক্ত আইসিসি। কিছুটা হলেও চাপে রয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নকভি। সেই কারণেই কি সরাসরি জবাব না দিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন তিনি?
ভারতের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে করমর্দন-বিতর্কের জেরে এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নেওয়ার কথা ভেবেছিল পাকিস্তান। সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঠিকই করে ফেলেছিলেন পাকিস্তান বোর্ডের প্রধান নকভি। দেশের কথা ভেবে ‘শত্রু’র পাশে দাঁড়ান নাজম শেঠি। পাকিস্তানকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন। সে কথা উল্লেখ করেছেন শেঠি নিজেই। পাকিস্তান বোর্ডে ক্ষমতার লড়াই বহু দিন ধরেই রয়েছে। নাজমকে সরিয়েই এক সময় ক্ষমতায় এসেছিলেন নকভি। ফলে দু’জনের সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। একই কথা বলা যায় রামিজ় রাজার ক্ষেত্রেও। অথচ আমিরশাহি ম্যাচের আগে দুই ‘শত্রু’র সঙ্গেই লাহোরে বৈঠক করেছিলেন নকভি। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তাঁরা আমিরশাহি ম্যাচ খেলবেন।
আরও পড়ুন:
সেই বৈঠক নিয়ে মুখ খুলেছেন নাজম। পাকিস্তানের ‘সামা টিভি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “মুহূর্তের অসাবধানতায় নকভি এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নেওয়ার কথা বলেছিল। আমার বন্ধুরা বলেছিল, ‘বৈঠকে যেয়ো না। ওদের সাহায্য করার কোনও দরকার নেই’। নকভিকে সাহায্য করার কোনও ইচ্ছাই ছিল না আমার। কিন্তু পাকিস্তান বোর্ডের কথা ভেবে গিয়েছিলাম বৈঠকে।”
নাম না করে নকভির তুলোধনাও করেছেন নাজম। বলেছেন, “যে কাজ করতে যাচ্ছিল তাতে সফল হলে পাকিস্তানের অপূরণীয় ক্ষতি হত। সামলানো যেত না। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল, আইসিসি আমাদের শাস্তি দিত। পাকিস্তান সুপার লিগে বিদেশি ক্রিকেটারেরা খেলতে আসতে চাইত না। সম্প্রচারস্বত্ব থেকে ১৩২ কোটি টাকা হারাত পাকিস্তান।” বাধ্য হয়ে নকভিকে থামাতে হয় বলে জানিয়েছেন নাজম। তাঁর কথায়, “এখানে ব্যক্তিস্বার্থের কোনও ব্যাপার নেই। পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমাকে যেতে হয়েছে। পাকিস্তান নাম তুলে নিলে দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হত আমাদের।”