শুক্রবার দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ড যাওয়ার সময় পন্থের গাড়ি ধাক্কা মারে ডিভাইডারে। ফাইল চিত্র
ঋষভ পন্থের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এসেছিলেন কিছু ‘বন্ধু’। তাঁদের সাহায্য না পেলে হয়তো পন্থকে বাঁচানোই কঠিন হত চিকিৎসকদের পক্ষে। সেই সব মানুষকে সম্মান জানাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই জানালেন উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার।
শুক্রবার দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ড যাওয়ার সময় পন্থের গাড়ি ধাক্কা মারে ডিভাইডারে। গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। পন্থ উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে বেরিয়ে আসেন। গাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরছিলেন পন্থ। ডিজিপি অশোক বলেন, “পথ দুর্ঘটনার পর প্রথম ঘণ্টাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন।” পন্থ সেই চিকিৎসাটা পেয়েছিলেন।
পন্থকে সাহায্য করেছিলেন বাসচালক সুশীল মান। তিনি গাড়ি থেকে পন্থকে বার করে আনেন এবং সঙ্গে সঙ্গে একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন। তিনি যদিও পন্থকে চিনতেন না। এক ব্যক্তি দুর্ঘটনায় পড়েছেন বলেই তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই ধরনের কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। এর জন্য ‘গুড সামারিটান’ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে। অশোক বলেন, “পথ দুর্ঘটনার সময় সাহায্য করতে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ দিতেই এই ‘গুড সামারিটান’ প্রকল্প।”
শুক্রবার ভোরে গাড়ি চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন পন্থ। তাতেই ঘটে বিপত্তি। দুর্ঘটনায় চোট পেয়েছেন পন্থ। তাঁর মাথায়, পিঠে, হাঁটুতে চোট রয়েছে। তাঁর এমআরআই করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারও করা হবে। শুক্রবার রাতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডান হাঁটুর লিগামেন্টের চোট এবং ডান গোড়ালির চোটের জন্য ‘স্প্লিনটেজ’ (অত্যাধুনিক প্লাস্টার) দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের তরফে বিকেলে যে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে পন্থের অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি জেগে আছেন। পন্থের ডান কব্জির অনেকটা অংশ ছড়ে গিয়েছে। কপাল এবং চোখের ভ্রুর উপরে ক্ষত তৈরি হয়েছে। পিঠেও বেশ কিছু ক্ষত রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy