রবিবার ফাইনালে কোন ১১ জন খেলতে পারেন ভারতের হয়ে? কেমন হতে পারে নিউ জ়িল্যান্ডের একাদশ

টানা চার ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছেন রোহিত শর্মারা। আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই ভারতীয় শিবিরে। রবিবার মিচেল স্যান্টনারের দলকে হারালেই বাজিমাত। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটবেন না কোচ গৌতম গম্ভীর। জয়ী একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও কম। বরং নিউ জ়িল্যান্ড শিবিরে কিছুটা হলেও উদ্বেগ রয়েছে ম্যাট হেনরিকে নিয়ে। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ফিল্ডিং করার সময় কাঁধে চোট পান।

দেখে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে ফাইনালে ভারতের প্রথম একাদশ। ইনিংস শুরু করবেন রোহিত এবং শুভমন গিল। দু’জনেই ফর্মে আছেন। শেষ দু’টি ম্যাচে কেউই বড় রান পাননি। তবে তাঁদের প্রথম একাদশের বাইরে রাখার কোনও সম্ভাবনা নেই। তিন নম্বরে বিরাট কোহলি নিশ্চিত। তাঁর কোনও বিকল্প নেই ভারতীয় দলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভাল ফর্মে রয়েছেন তিনি। পরিবর্তন করেছেন নিজের ব্যাটিংয়েও। তাঁর পর আসবেন শ্রেয়স আয়ার। এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে শ্রেয়সের জায়গাও পাকা। ফর্মেও রয়েছেন। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে আসবেন অক্ষর পটেল। তাঁকে এই জায়গাতেই ইংল্যান্ড সিরিজ় থেকে খেলাচ্ছেন গম্ভীর। সাফল্যও পাচ্ছেন অক্ষর। তাঁর স্পিনও ভারতের অন্যতম শক্তি। ছয় নম্বরে আসবেন লোকেশ রাহুল। তিনি ফাইনালেও উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। রাহুলের খেলা নিয়ে প্রশ্ন নেই।

ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের সাত এবং আট নম্বরে থাকবেন দুই অলরাউন্ডার। সাত নম্বরে থাকবেন হার্দিক পাণ্ড্য। আট নম্বরে নামবেন রবীন্দ্র জাডেজা। হার্দিক এবং জাডেজা থাকবেন ফিনিশারের দায়িত্বে। শেষ তিনটি জায়গা বিশেষজ্ঞ বোলারদের। ব্যাটিং অর্ডারের নয় থেকে ১১ নম্বরে নামবেন মহম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তী। বরুণকে শেষ মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেওয়া হয়। শেষ দু’টি ম্যাচে ভাল পারফর্ম করেছেন। দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে চার স্পিনার নিয়েই খেলবে ভারত। তাই প্রথম একাদশে থাকবেন কুলদীপও। এক মাত্র বিশেষজ্ঞ জোরে বোলার হিসাবে শামির দলে থাকা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই।

অন্য দিকে, নিউ জ়িল্যান্ডের প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন হতে পারে। হেনরি শেষ পর্যন্ত খেলতে না পারলে প্রথম একাদশে আসতে পারেন মার্ক চাপম্যান। কারণ হেনরি খেলতে পারবেন না, এমন কিছু জানায়নি কিউয়ি শিবির। দুবাইয়ের পিচে তাঁর স্পিন কার্যকর হতে পারে। উইল ও’রোর্কের পরিবর্তেও তাঁকে বিবেচনা করা হতে পারে।

কিউয়িদের ইনিংস শুরু করবেন উইল ইয়ং এবং রাচিন রবীন্দ্র। দু’জনেই রানের মধ্যে রয়েছেন। রাচিন বাংলাদেশ ম্যাচের পর সেমিফাইনালেও শতরান করেছেন। তাই ওপেনিং জুটি বদল করতে চাইবে না কিউয়ি শিবির। তিন নম্বরে অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসনও নিশ্চিত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনিও শতরান করেছেন। ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে নামতে পারেন ড্যারিল মিচেল। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে চাপম্যানকে খেলানো হতে পারে পিচের চরিত্রের জন্য। তাতে দলের ব্যাটিং গভীরতা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমন স্পিন বোলিংয়ের বিকল্পও বাড়বে। উইকেটরক্ষক টম লাথামের খেলা নিয়ে প্রশ্ন নেই। তিনি ব্যাট করবেন ছ’নম্বরে। তাঁর পর সাত নম্বরে আসবেন গ্লেন ফিলিপ্স। ব্যাটিং অর্ডারের আট নম্বরে থাকবেন অধিনায়ক স্যান্টনার। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ তিনটি জায়গায় আসতে পারেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন। কারণ নিউ জ়িল্যান্ডের বোলিংয়ের মূল শক্তিই জোরে বোলারেরা।

ভারতের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, অক্ষর পটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা, মহম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী।

নিউ জ়িল্যান্ডের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: উইল ইয়ং, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, মার্ক চাপম্যান, টম লাথাম, গ্লেন ফিলিপ্স, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), মাইকেল ব্রেসওয়েল, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন।