হার-জয়-হার-জয়-হার-জয়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের এ বারের আইপিএল যাত্রাটা এ ভাবেই এগোচ্ছে। একটি ম্যাচে জিতলেই পরের ম্যাচটি হেরে যাচ্ছে তারা। আগের ম্যাচে জেতায় অনেকেই ধরে নিয়েছেন, মঙ্গলবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তারা হারবে। সেই ধারা বদলে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে অজিঙ্ক রাহানের দলের কাছে। তার জন্য দলের কৌশলে বদলে আনতে হতে পারে। এমনকি, প্রথম একাদশও একটু পাল্টাতে হতে পারে।
পঞ্জাবের মুল্লানপুরে খেলতে নামবে কেকেআর। সেই মাঠের আয়তন ছোট। ফলে সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তী এবং মইন আলি— এই স্পিনত্রয়ীকে একসঙ্গে না-ও খেলানো হতে পারে। নারাইন এবং বরুণের খেলা প্রায় পাকা। তবে দলের কম্বিনেশনের কারণে আবার বসতে হতে পারে মইনকে।
এখন প্রশ্ন, মইনের জায়গায় কাকে খেলানো হবে? স্পেন্সার জনসন যে ক’টি ম্যাচে খেলেছেন, একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। প্রচুর রান দিয়েছেন। তাই অনরিখ নোখিয়াকে খেলানো যেতেই পারে। তাঁর বলে গতি এবং বৈচিত্র দু’টিই রয়েছে। জনসনের থেকে খারাপ বোলিং নিশ্চয়ই করবেন না। এই আইপিএলে প্রথম সুযোগ পেলে বাড়তি কিছু দেওয়ার তাগিদ থাকবে।

ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি’কক এবং নারাইন পাকা। তিনে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে খেলানো হতে পারে। চারে নামবেন রাহানে। পাঁচে বেঙ্কটেশ আয়ার। ছয় এবং সাতে রমনদীপ সিংহ এবং রিঙ্কু সিংহ। কেকেআরের আরও একটি দুশ্চিন্তার কারণ আন্দ্রে রাসেলের ফর্ম। তাঁকে দিয়ে সে ভাবে বল করানো হচ্ছে না। ব্যাট হাতেও সফল নন। তাঁর জায়গায় রভমান পাওয়েলকে একটা সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেটার খুব খারাপ খেলেনও না টি-টোয়েন্টিতে। বলটাও করতে পারেন।
বোলিং বিভাগে হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরার উপর পেস বিভাগের দায়িত্ব থাকবে। সঙ্গে নোখিয়া থাকতে পারেন। পাওয়েল খেললে তাঁকে দিয়েও গোটা দুয়েক ওভার করানো যেতে পারে। এ ছাড়া আর পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
পঞ্জাবের ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ওপেনিংয়ে প্রিয়াংশ আর্য এবং প্রভসিমরন সিংহ পাকা। প্রিয়াংশ যে ভাবে শতরান করেছেন তা মন কেড়ে নিয়ে সকলেরই। তরুণ এই ব্যাটার এখন পঞ্জাবের মুখ। অন্য দিকে, আগের ম্যাচে ভাল খেলেছেন প্রভসিমরনও।
আরও পড়ুন:
তিনে নামবেন শ্রেয়স আয়ার। আগের ম্যাচে ৩৬ বলে ৮২ করেছিলেন। পুরনো দলের বিরুদ্ধে এমনিতেই অনেক অভিমান জমে রয়েছে তাঁর। সেই অভিমান ফেটে বেরোলে কেকেআরের বিপদ হতে পারে। চারে নামবেন নেহাল ওয়াধেরা। পাঁচে মার্কাস স্টোইনিস এবং ছয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নামানো হতে পারে। সাতে থাকছেন শশাঙ্ক সিংহ। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী শেষ তিন জনের ব্যাটিং অর্ডারে বদল হতে পারে।
বোলিং বিভাগে থাকছেন অর্শদীপ সিংহ, মার্কো জানসেন এবং যুজবেন্দ্র চহল। স্টোইনিস বাড়তি পেসার এবং ম্যাক্সওয়েল বাড়তি স্পিনারের কাজ করে দিতে পারেন। তবে যশ ঠাকুর খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আগের কয়েকটি ম্যাচে। তাঁর জায়গায় বিজয়কুমার বিশাখকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।
কলকাতার সম্ভাব্য একাদশ: কুইন্টন ডি’কক, সুনীল নারাইন, অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, অজিঙ্ক রাহানে, বেঙ্কটেশ আয়ার, রিঙ্কু সিংহ, রমনদীপ সিংহ, রভমান পাওয়েল, হর্ষিত রানা, অনরিখ নোখিয়া এবং বরুণ চক্রবর্তী। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার: বৈভব অরোরা।
পঞ্জাবের সম্ভাব্য একাদশ: প্রিয়াংশ আর্য, প্রভসিমরন সিংহ, শ্রেয়স আয়ার, নেহাল ওয়াধেরা, মার্কাস স্টোইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, শশাঙ্ক সিংহ, সূর্যাংশ শেড়গে, মার্কো জানসেন, অর্শদীপ সিংহ এবং যুজবেন্দ্র চহল। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার: বিজয়কুমার বিশাখ।