আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে পঞ্জাব কিংস। রবিবার বৃষ্টির কারণে আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ২ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর। সেই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠল পঞ্জাব কিংস। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে গত বার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। এ বার পঞ্জাবকে ফাইনালে তুললেন তিনি। ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে।
আইপিএলের কোয়ায়লিফায়ার ২ হওয়ার কথা ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ছিল। প্রতিযোগিতা এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যেতেই বদলে যায় সূচি। নতুন সূচি প্রকাশ হতেই দেখা যায় কোয়ালিফায়ার ২ এবং ফাইনাল ইডেন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অহমদাবাদে। কিন্তু বৃষ্টি পিছু ছাড়েনি। রবিবার কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও অহমদাবাদে হয়। তাই জন্যই খেলা শুরু হয় দেরিতে।
রবিবার ম্যাচ না হলে পঞ্জাব ফাইনালে উঠে যেত। সেই কারণে মুম্বইয়ের ক্রিকেটারেরা চাইছিলেন ম্যাচ দ্রুত শুরু হোক। রবিবার রাত ৯.৪৫ মিনিটে যখন খেলা শুরু হয়, তখন মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের দেখা যায় স্বমেজাজে।
আগের দিনের মতো এ দিনও রোহিত শর্মা শুরুতেই ক্যাচ দিয়েছিলেন এবং সেই ক্যাচ ধরতে পারেননি ফিল্ডারেরা। তবে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৮১ রান করে ম্যাচটাই নিয়ে চলে গিয়েছিলেন রোহিত। রবিবার সেটা হয়নি। মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান রোহিত। তাতে মুম্বইয়ের খুব সমস্যা হয়নি। জনি বেয়ারস্টো (৩৮) এবং তিলক বর্মা (৪৪) মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েন। সূর্যকুমার যাদবও ৪৪ রান করেন। মুম্বইকে লড়াই করার মতো রান তুলতে সাহায্য করেন তাঁরাই। অধিনায়ক হার্দিক যদিও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
দোষ রয়েছে পঞ্জাবের বোলারদেরও। লেগ সাইডে ফিল্ডার রেখে অফ স্টাম্পের বাইরে বল করলেন কাইল জেমিসনেরা। যুজবেন্দ্র চহল প্রথম ওভারে ৩ রান দেওয়ার পর লাইন, লেংথ ঘেঁটে ফেললেন। সূর্যকুমার তাঁকে অনায়াসে গ্যালারিতে ফেললেন। কেন চহল এখন আর ভারতীয় দলে ডাক পান না, তা আরও এক বার নিজেই দেখিয়ে দিলেন।
পঞ্জাবের কোনও বোলারই সে ভাবে রান আটকাতে পারেননি। ফলে শেষ দিকে নেমে নমন ধীরও ১৮ বলে ৩৭ রান করে যান, যা শ্রেয়স আয়ারদের লক্ষ্য আরও কঠিন করে দেয়। কিন্তু ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করা অসম্ভব কিছু ছিল না।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এর আগে কোনও দল ২০০ রান তাড়া করে জিততে পারেনি। রবিবার শ্রেয়সেরা সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন। শ্রেয়স দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতালেন। ৮৭ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ট্রফির কাছে নিয়ে গেলেন। গত ম্যাচ হেরে বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হয়নি। সেটাই রবিবার প্রমাণ করলেন শ্রেয়স।