প্রচারের সব আলো শুষে নিচ্ছে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি নামক নক্ষত্রের জ্যোতির আড়ালে হারিয়ে গিয়েছেন শ্রেয়স আয়ার। আইপিএল রানার্সের শিল্ড নিয়ে মঞ্চ থেকে শুকনো মুখে নেমে যাওয়ার পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। বলা ভাল, সম্প্রচারকারী সংস্থা দেখানোর প্রয়োজনই মনে করেনি। তবে মঞ্চ ছাড়ার আগে প্রত্যয়ী শ্রেয়স বলেছেন, আগামী বছর ট্রফি জিতবেন।
আইপিএলে শ্রেয়সের সাফল্য কম নয়। তিনটি দলের অধিনায়ক হিসাবে ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব একমাত্র তাঁরই রয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালস এবং পঞ্জাব কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ট্রফি দিয়েছিলেন। আগামী বছর আবার জিততে চান শ্রেয়স। পঞ্জাবকে প্রথম আইপিএল ট্রফি দিতে চান। শিল্ড এবং ১২.৫ কোটি টাকার চেক নেওয়ার পর পঞ্জাব অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে ভীষণ হতাশ লাগছে। তবে এত বড় প্রতিযোগিতায় দলের সকলে যে ভাবে খেলেছে, তার প্রশংসা করতেই হবে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফ, দলের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আমাদের এই যাত্রায় প্রত্যেকে সক্রিয় ভাবে পাশে ছিল। দলের কর্ণধারদের কথাও বলব। অবিশ্বাস্য তাঁদের সমর্থন।’’ এর পরই তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সংকল্প। শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘আমরা অর্ধেক কাজ করতে পেরেছি। আগামী বছর আমরা ট্রফি জিততে চাই। প্রচুর ইতিবাচক দিক রয়েছে আমাদের। দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে যারা এ বারই প্রথম আইপিএল খেলল। তবু ওরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলল। দুর্দান্ত। ওরা এ বার অভিজ্ঞতা অর্জন করল। আমি নিশ্চিত আগামী বছর ওরা আরও শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে ফিরে আসবে।’’
ট্রফি জিততে না পারায় শ্রেয়স হতাশ। তবে দলের খেলায় অখুশি নন। পঞ্জাব অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘এ বছর আমরা বেশ ভাল ক্রিকেট খেলেছি। কখনও কখনও প্রত্যাশিত ফল হয়নি। খেলায় ভাল-খারাপ থাকেই। আমাদেরও ছিল। তবে মোটের উপর এ বার আমাদের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক। দলের একতা দুর্দান্ত। সকলে মিলে লড়াই করেছি। এটাই কিন্তু শেষ নয়। আমরা ফিরে আসবই।’’
শ্রেয়সের মতে মঙ্গলবার অহমদাবাদের পিচে ২০০ রানও তাড়া করা সম্ভব ছিল। তাঁরা পারেননি এক জনের জন্য। তাঁর কাছেই হেরে গিয়েছেন। শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘দু’দিন আগেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে এই মাঠে খেলেছিলাম। ২০০ রান এখানে বেশ ভাল। বেঙ্গালুরুর বোলারেরা দারুণ বল করেছে। এই জয়টা ওদের কৃতিত্ব। বিশেষ করে ক্রুণাল পাণ্ড্যর। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত বল করল। সত্যিই অসাধারণ।’’
আরও পড়ুন:
এ বার হল না। তবে আবার হবে। আইপিএলের শেষবেলায় নতুন শপথ নিয়েই সকলের অগোচরে চলে গিয়েছেন শ্রেয়স। হয়তো নক্ষত্রের জ্যোতি নিয়ে ফিরে আসবেন পঞ্জাব অধিনায়ক।