পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারেরা। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ারেরা। সেই চাপ শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারলেন না তাঁরা। ১০১ রানে শেষ পঞ্জাব।
টস জিতে পঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাটীদার। তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করলেন বোলারেরা। শুরুটা করেছিলেন যশ দয়াল। এর পর একে একে ভুবনেশ্বর কুমার, জস হেজলউড এবং সূযশ শর্মা উইকেট তুলে নিলেন। পঞ্জাবের কোনও ব্যাটারই ক্রিজ়ে থিতু হতে পারলেন না।
এ বারের আইপিএলে পঞ্জাবের ওপেনারেরা যথেষ্ট রান করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রিয়াংশ আর্য (৭) এবং প্রভসিমরন সিংহ (১৮) অল্প রানেই আউট হয়ে যান। তাঁরা আউট হওয়ার পর প্রতি ১০ রান অন্তর উইকেট হারাতে থাকে পঞ্জাব। হেজলউড দলে ফেরায় বেঙ্গালুরুর বোলিং আক্রমণ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। তিনি একাই তিন উইকেট তুলে নেন। তাদের তিন পেসার শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় পঞ্জাবকে। ভুবি নেন একটি উইকেট। দয়াল নেন দু’টি উইকেট। বাকি কাজটা করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাতিল স্পিনার সূযশ। তিনি তিন উইকেট তুলে নেন।
আরও পড়ুন:
পঞ্জাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান মার্কাস স্টোইনিসের। তিনি ১৭ বলে ২৬ রান করেন। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন স্টোইনিস। কিন্তু সূযশের বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি। তাতেই পঞ্জাবের সব আক্রমণ শেষ হয়ে যায়। মুশির খানকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামিয়ে শেষ চেষ্টা করেছিল পঞ্জাব। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। শূন্য রানে আউট হয়ে যান তিনি।
মুশিরকে ইমপ্যাক্ট হিসাবে নামানোর ফলে এক জন বোলার কমে গেল পঞ্জাবের। তারা বল করার সময় এক জন বোলারকে নামানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। যদিও মুশির বল করতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁকে শ্রেয়স ব্যবহার করতে পারবেন।