দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ১৯ বলে ৩১ রান করার পরে পাঁজরে টান ধরে তাঁর। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন সঞ্জু। রিটায়ার্ড আউট হন। আর মাঠে নামেননি রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক। সঞ্জুর চোট কতটা গুরুতর? পরের ম্যাচগুলিতে খেলতে পারবেন তো তিনি? ম্যাচ শেষে নিজেই চোটের খবর দিয়েছেন সঞ্জু।
সুপার ওভারে দিল্লির কাছে হারের পর সঞ্জু বলেন, “এখন তো কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু এই ম্যাচে আর ব্যাট করতে চাইনি। তাই নামিনি। এক দিন দেখি। কিছু পরীক্ষা হবে। তার পরে বুঝতে পারব কতটা চোট লেগেছে।”
চলতি আইপিএল শুরুর আগে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সঞ্জু। সেই কারণে প্রথম তিনটি ম্যাচে শুধু ব্যাটার হিসাবে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু ফিল্ডিং করেননি। তিন ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসকেরা তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরে খেলতে নামেন তিনি। প্রথন তিন ম্যাচে সঞ্জুর বদলে রাজস্থানের অধিনায়কত্ব করেছিলেন রিয়ান পরাগ। দিল্লির বিরুদ্ধে সুপার ওভারেও তিনিই নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন:
বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে দিল্লি। ওপেনার অভিষেক পোড়েল সর্বাধিক ৪৯ রান করেন। লোকেশ রাহুল করেন ৩৮ রান। ট্রিস্টান স্টাবস ও অধিনায়ক অক্ষর পটেল করেন ৩৪ রান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে রাজস্থানও। যশস্বী জয়সওয়াল ও নীতীশ রানা ৫১ রান করেন। সঞ্জু ৩৮ রান করে উঠে যান। তিনি থাকলে হয়তো ২০ ওভারেই খেলা জিতে যেত রাজস্থান।
সঞ্জুকে ছাড়াও ম্যাচ জেতা উচিত ছিল রাজস্থানের। রান তাড়া করতে নেমে শেষ ৬ বলে ৯ রান দরকার ছিল। ক্রিজ়ে ছিলেন শিমরন হেটমেয়ার ও ধ্রুব জুরেল। কিন্তু মিচেল স্টার্কের ছ’টি ইয়র্কার রাজস্থানকে জিততে দেয়নি। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন জুরেল। ফলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে রাজস্থানকে হারায় দিল্লি।