বরোদার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন ঈশান পোড়েল। —ফাইল চিত্র
ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও বাংলাকে লড়াইয়ে রেখে দিলেন বোলাররা। বুধবার কল্যাণীর মাঠে দুই দল মিলিয়ে ১৪টি উইকেট পড়ল। বাংলা শেষ উইকেটে এ দিন মাত্র ২ রান যোগ করে। ৭৮ রানে পিছিয়ে শেষ করে বাংলা। বরোদার কাছে সুযোগ ছিল বাংলার সামনে বড় রানের লক্ষ্য দেওয়ার। কিন্তু মুকেশ কুমারদের দাপটে তা পারলেন না প্রত্যুষ কুমাররা। ৯৮ রানে শেষ হয়ে যায় বরোদা। জয়ের জন্য বাংলার সামনে ১৭৭ রানের লক্ষ্য রাখে তারা। সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলা ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তুলেছে।
প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান তুলেছিল বরোদা। সেই রানের জবাবে বাংলা শেষ হয়ে যায় ১৯১ রানে। অনুষ্টুপ মজুমদার ছাড়া বাংলার আর কোনও ব্যাটারই রান পেলেন না। ৯০ রান করেন অনুষ্টুপ। ৭৮ রানে পিছিয়ে শেষ করে বাংলা। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে তিন পয়েন্ট হারানোর সম্ভাবনা দেখা দেয় তাদের। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বাংলাকে ম্যাচে ফেরান মুকেশরা। ৯৮ রানে শেষ হয়ে যায় বরোদা। ৪ উইকেট নেন মুকেশ। ৩ উইকেট নেন ঈশান পোড়েল। একটি উইকেট আকাশ দীপের। রান আউট হন বরোদার দুই ব্যাটার। বরোদার হয়ে প্রত্যুষ কুমার ছাড়া কেউই রান পাননি। তিনি ৬২ রান করেন। বাকি কেউ দু’অঙ্কের রানও করতে পারেননি।
১৭৭ রান করলে সরাসরি ম্যাচ জিতবে বাংলা। এমন অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে আবার ব্যর্থ বাংলার ওপেনার অভিষেক দাস। তিনি মাত্র ৭ রান করেন। রান পাননি অভিমন্যু ঈশ্বরনও। তিনি ৯ রান করেন। ২৮ রান করে অপরাজিত রয়েছেন সুদীপ ঘরামি। আগের ইনিংসে ৯০ রান করা অনুষ্টুপ এই ম্যাচে ৯ রান করে আউট হয়ে যান। ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তুলেছে বাংলা। শেষ দিনে জয়ের জন্য ১২৪ রান প্রয়োজন।
বুধবার ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলা। সেখান থেকে কিছুটা লড়াই করেন অনুষ্টুপ এবং অভিষেক পোড়েল। দু’জনে ৭২ রান যোগ করেন। অভিষেক ২৫ রান করে আউট হয়ে যান। অলরাউন্ডার সায়নশেখর শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। আকাশ দীপ করেন ৯ রান। একা লড়ছিলেন অনুষ্টুপ। কিন্তু ৯০ রানের মাথায় আউট হন তিনি। মাত্র ১০ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন অনুষ্টুপ। কিন্তু বৃহস্পতিবার রান করতে পারলেন না তিনি। বাংলা তাকিয়ে মনোজ তিওয়ারির দিকে। বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটার এবং অধিনায়ক জেতাতে পারেন কি না সেই দিকে নজর থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy