টেস্টজীবনের শুরুতে কয়েক বছর মিডল অর্ডারে নামতেন রোহিত শর্মা। কিন্তু বেশি সুযোগ না পেয়ে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই তাঁকে ওপেনিংয়ে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী, যা বদলে দিয়েছিল রোহিতের কেরিয়ার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে কথা ফাঁস করেছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ।
২০১৭-য় ভারতের কোচ হন শাস্ত্রী। চার বছর কোচ থাকাকালীন তিনিই রোহিতকে ওপেনার হিসাবে তুলে এনেছিলেন। রোহিতের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ওই একটি সিদ্ধান্ত।
আইসিসি রিভিউয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “চার-পাঁচে ব্যাট করতে করতে ছেলেটা (রোহিত) বিরক্ত হয়ে যেত। তখন আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম যে ও এক দিনের ক্রিকেটে এত সফল কেন? বুঝলাম, সেখানে ও আগে ব্যাট করতে নামে।”
শাস্ত্রীর সংযোজন, “আমি ভেবেছিলাম ওই ফরম্যাটে সফল হলে এখানেও পারবে। ওখানে জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে হাতে সময় পায়। জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে ওর হাতে শট আছে। টেস্ট ক্রিকেটে ফিল্ডিংয়ের বিধিনিষেধ নেই। যদি টেস্টের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে তা হলে রোহিতের কাছে বিষয়টা মধুচন্দ্রিমার মতো হয়ে যাবে।”
২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের ওপেনার হিসাবে রোহিত পাঁচটি শতরান করেছিলেন। ৬৪৮ রান নিয়ে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। তখনই রোহিতকে টেস্টে ওপেনার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন শাস্ত্রী।
ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেছেন, “সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম ২০১৯-এ। যদি ভুল না করি, বিশ্বকাপের ঠিক পরেই। বিশ্বকাপটা দারুণ গিয়েছিল রোহিতের। ফর্মে ছিল। ভেবেছিলাম ও ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এক বারেই হ্যাঁ বলেছিল।”
আরও পড়ুন:
জীবনের প্রথম দু’টি টেস্ট ইনিংসে শতরান করার পর রোহিতকে দীর্ঘ ছ’বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল তৃতীয় শতরানের জন্য। শাস্ত্রী তাঁকে ওপেন করতে পাঠানোর পর চারটি ইনিংসে তিনটি শতরান করেছিলেন রোহিত। তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিশতরান ছিল।
শাস্ত্রী বলেছেন, “সেই সিদ্ধান্তের পর প্রথম টেস্ট ম্যাচেই ওপেনার হিসাবে শতরান করল। তার পর থেকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আমি জানতাম ও এটা উপভোগ করবে। নিজের টেকনিক নিয়ে অনেক কাজ করেছে।”