সরকারি ভাবে এক বছরও রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচের পদে থাকতে পারলেন না রাহুল দ্রাবিড়। শনিবার সমাজমাধ্যমে দ্রাবিড়ের ইস্তফার কথা জানিয়েছেন রাজস্থান কর্তৃপক্ষ।
সরকারি ভাবে বলা হয়েছে, দলের গঠনগত পরিবর্তনের অংশ হিসাবে দ্রাবিড়কে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন সরে গেলেন ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো কোচ? সূত্রের খবর, গত আইপিএলে রাজস্থানের ব্যর্থতার জন্য দ্রাবিড়কে ‘শাস্তিমূলক পদোন্নতি’ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কৌশল এবং কিছু সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি কর্তৃপক্ষের। তাই আর রাজস্থানের সঙ্গে থাকতে চাননি দ্রাবিড়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্রাবিড়কে দেওয়া নতুন দায়িত্বের সঙ্গে দলের সরাসরি কোনও সম্পর্ক ছিল না। তবে তাঁকে ঠিক কী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। দু’টি আইপিএল দলের সহকারী কোচ হিসাবে কাজ করা ভারতের এক প্রাক্তন ক্রিকেটার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘আইপিএলের দলগুলোর সঙ্গে কাজ করতে হলে একটা বিষয় জানতে হবে। কোনও প্রধান কোচকে বৃহত্তর দায়িত্ব দেওয়া আসলে শাস্তিমূলক পদোন্নতির মতো। এর অর্থ হচ্ছে, দল গঠনে তাঁর আর কোনও ভূমিকা থাকবে না।’’
গত কয়েক বছরের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। আগামী নিলামে তাঁরা এমন এক জনকে নিতে চান, যিনি অধিনায়ক হিসাবে দলকে সাফল্যের রাস্তা দেখাতে পারবেন। গত বছর সঞ্জুর অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়া রিয়ান পরাগের উপরও আস্থা রাখতে পারছেন না রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। তিনি নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মূলত দ্রাবিড়ের ইচ্ছাতেই। রাজস্থান কর্তৃপক্ষ নাকি যশস্বী জয়সওয়ালকে দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
গত আইপিএলে ১৪টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় পেয়েছিল রাজস্থান। পয়েন্ট তালিকায় নবম স্থানে শেষ করেছিলেন সঞ্জুরা। দ্রাবিড়ের সঙ্গে রাজস্থানের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই দলের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন। অতীতে দলের মেন্টর হিসাবেও কাজ করেছেন।