অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে ফর্মে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরানের পর তৃতীয় ম্যাচে শতরান করে দলকে জিতিয়েছেন রোহিত শর্মা। তার সুবাদেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে এক নম্বর ব্যাটার হয়েছেন তিনি। ৩৮ বছর ১৮২ দিন বয়সে রোহিত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। পিছনে ফেলে দিয়েছেন শুভমন গিলকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও থামানো যায়নি রোহিতকে। তিন ম্যাচে তিনি মোট ২০২ রান করেছেন। শেষ ম্যাচে শুধু শতরানই করেননি, বিশ্ব ক্রিকেটে ধারাবাহিক ব্যাটার হিসাবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। সিরিজ় সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও আদায় করে নিয়েছেন।
আইসিসি ক্রমতালিকায় সচিন তেন্ডুলকরই একমাত্র ব্যাটার যিনি ৩৮-এর পর বিশ্বসেরা ব্যাটার হয়েছিলেন। ২০১১-এ টেস্টে তিনি এই কাজ করে দেখিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের পর রোহিত ৪০ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন। তাঁর কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং ৮৮২, যা তিনি অর্জন করেছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপের পর।
৭৮১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে রয়েছেন রোহিত। দ্বিতীয় স্থানে আফগানিস্তানে ইব্রাহিম জ়াদরান (৭৬৪)। শুভমন নেমে গিয়েছেন তিনে। বিরাট কোহলি রয়েছেন ছ’নম্বরে। শ্রেয়স আয়ার শেষ ম্যাচে ব্যাট করতে পারেননি। তবে তিনি ন’নম্বরে উঠে এসেছেন।
বোলারদের তালিকায় প্রথম তিন স্থান অপরিবর্তিত। রশিদ খান, কেশব মহারাজ এবং মাহিশ থিকশানা প্রথম তিন স্থানে রয়েছেন। চারে উঠে এসেছেন মিচেল স্যান্টনার। প্রথম দশে থাকা একমাত্র ভারতীয় বোলার হলেন কুলদীপ যাদব। তিনি রয়েছেন আটে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় সাফল্যের পিছনে মূলত দু’টি কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন রোহিত। প্রস্তুতি এবং অভিজ্ঞতা। বোর্ডের ভিডিয়োয় রোহিত বলেছিলেন, “খেলা শুরু করার পর থেকে কখনও কোনও সিরিজ়ের প্রস্তুতির জন্য চার-পাঁচ মাস সময় পাইনি। এ বার সেটা পেয়ে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলাম। পুরোপুরি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী। সেটা খুব ভালই কাজে লেগেছে। বাকি ক্রিকেটজীবনে কী পড়ে আছে, সেটা বোঝার জন্য এই সময়টা পাওয়া খুবই দরকার ছিল। কারণ আগে কখনও এতটা সময় হাতে পাইনি।”
রোহিতের সংযোজন, “দেশেই ভাল ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে ওখানকার আর এখানকার পরিবেশের কোনও মিল নেই। দু’দেশের অনেক পার্থক্য রয়েছে। যে হেতু এই দেশে অনেক বার এসেছি তাই অভিজ্ঞতা ছিলই। শুধু ছন্দ খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষা করছিলাম।”