ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আইপিএল, সাম্প্রতিক কালে সব ধরনের ক্রিকেটেই ভাল ফর্মে রয়েছেন সাই সুদর্শন। শনিবার তার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ভারত ‘এ’ দলে সুযোগ পাওয়ার পর মূল দলেও সুযোগ পেয়েছেন। সব ঠিক থাকলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে ওপেনে বা তিনে নামতে দেখা যেতে পারে। আপ্লুত সুদর্শন জানিয়েছেন, গল্পের এখনও অনেক বাকি।
রবিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নামবে গুজরাত। তার আগে সুদর্শন বলেছেন, “দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলাটাই একটা বড় সম্মান। খুব ভাল লাগছে। বিশ্বাসই হচ্ছে না। যে-ই ক্রিকেট খেলা শুরু করুক, সবার স্বপ্ন থাকে টেস্টে খেলা। ওটাই চূড়ান্ত লক্ষ্য।”
ব্যক্তিগত সাফল্যের মুহূর্তে সুদর্শনের মুখে তাঁদের কথা, যাঁরা ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠার সাক্ষী। তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার বলেছেন, “আমি জানি বাবা-মা খুব খুশি হবে। ভিডিয়ো কলে বাবা-মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিবারের লোকজন এবং বন্ধুরাও আমার জন্য খুশি। সেটা ওদের মুখ দেখেই বুঝতে পারছিলাম।”
এর পরেই কিছুটা সাবধানি হয়ে সুদর্শন বলেছেন, “সবে শুরু হল। এখনও গল্পের অনেকটা বাকি। অনেক কিছু যোগ করতে হবে। সবাই এটা মাথায় রাখতে বলেছে।”
এই মুহূর্তে আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। আইপিএল খেলেই লাল বলের ক্রিকেটে নেমে পড়তে হবে। সমস্যা হবে না? সুদর্শনের জবাব, “মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগেই। কিন্তু আমি সাধারণ বিষয়গুলোর উপর সবচেয়ে জোর দিই। মাঠের বাইরেও মনঃসংযোগ বাড়ানোর দিকে জোর দিই। যত বেশি মনঃসংযোগ থাকবে, তত বেশি মাঠের মধ্যে সেটার প্রভাব দেখা যাবে।”
আরও পড়ুন:
টেস্টে ওপেন করতে হোক বা মিডল অর্ডারে নামতে, কোনওটা নিয়েই চিন্তা নেই সুদর্শনের। তাঁর স্পষ্ট জবাব, “আমার সবই পছন্দ। তবে কোথায় খেলতে চাই সেটা বেছে নেওয়ার মতো সময় এখনও আসেনি। কোচেরা যেখানে খেলতে বলবেন, মানসিক ভাবে সেখানেই খেলার জন্য নিজেকে তৈরি করব।”
গুজরাতে যাঁর সঙ্গে ওপেন করেন, সেই শুভমন গিলের অধীনেই ইংল্যান্ডে নামবেন সুদর্শন। সে প্রসঙ্গে বলেছেন, “ওর উন্নতি চোখের সামনে দেখেছি। গত চার বছর ধরে তার সাক্ষী। ও খুবই প্রতিভাবান ক্রিকেটার। প্রশ্নাতীত দক্ষতা। নিশ্চিত ভাবেই দেশকে অনেক সম্মান এনে দেবে ও। জীবনের প্রথম টেস্ট সিরিজ়ে ওর অধীনে খেলতে পারব এটা ভেবে আরও খুশি।”