গত আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ছিলেন লোকেশ রাহুল। একটি ম্যাচ হেরে মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কার কাছে মাঠেই ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এ বারের আইপিএলে লখনউয়ের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হারের পরেই তাঁর সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্কা। তাই অনেকের স্মৃতিতেই ফিরে এসেছে গত বছরের ঘটনার কথা।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২০৯ রান তুলেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। কিন্তু ১৪ ওভারে ১৬১ রান তোলার পর ২০৯ রানে থেমে যাওয়ার কারণে ভুগতে হয় দলকে। দিল্লি ক্যাপিটালস আশুতোষ শর্মার ব্যাটে ভর করে জয়ের রান তুলে নেয়। ম্যাচ শেষে মাঠে নেমে আসেন লখনউয়ের মালিক গোয়েন্কা। কথা বলেন অধিনায়ক পন্থের সঙ্গে।
গত বছরের রাহুলের সঙ্গে কথা বলার সময়ে যে আগ্রাসন গোয়েন্কার মধ্যে দেখা গিয়েছিল, সোমবার সেটা দেখা যায়নি। তিনি শান্ত ভাবেই কথা বলছিলেন। তবে পন্থ বা গোয়েন্কা, কারও মুখেই কোনও হাসি ছিল না। গত আইপিএলের রাহুলের সঙ্গে গোয়েন্কার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই মরসুমে রাহুল আর লখনউ দলে থাকতে চাননি। গোয়েন্কার ব্যবহারের কারণেই দল ছেড়েছিলেন বলেই মনে করা হয়।
আরও পড়ুন:
এ বারের নিলামে পন্থকে ২৭ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে লখনউ। তাঁকে অধিনায়কও করেছে। কিন্তু সোমবার তাঁর ভুলেই হারতে হল দলকে। শেষ ওভারের প্রথম বলে স্টাম্পড করার সুযোগ পেয়েছিলেন পন্থ। কিন্তু বল ধরতে পারেননি। ৯ উইকেট হারানো দিল্লির ওই সময় উইকেট পড়লেই খেলা শেষ হয়ে যেত। কিন্তু পন্থ বল ধরতেই পারেননি।
ম্যাচে লখনউয়ের হয়ে মিচেল মার্শ (৭২) এবং নিকোলাস পুরান (৭৫) বড় রান করেন। তাঁদের দাপটে একটা সময় ২০ ওভারে লখনউ ২৫০ রান করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু পন্থ (০), আয়ুষ বাদোনি (৪), শার্দূল ঠাকুর (০) রান না পাওয়ায় শেষ দিকে আর খুব বেশি রান তুলতে পারেনি লখনউ।
দিল্লির হয়ে আশুতোষ ৩১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর দাপটেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা।