মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিকল্প হিসাবে সঞ্জু স্যামসনকে নেওয়ার চেষ্টা অনেক দিন আগেই শুরু করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। মাঝে কিছু দিন আলোচনা বন্ধ থাকলেও আইপিএলের মিনি নিলামের আগে সেই আলোচনা গতি পেল। সঞ্জুকে নেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর তারা। এতটাই যে অতীতে আইপিএল জেতানো রবীন্দ্র জাডেজাকেও ছেড়ে দিতে রাজি চেন্নাই। সঙ্গে আরও এক ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। সেই ক্রিকেটার হতে পারেন স্যাম কারেন।
‘ক্রিকইনফো’ ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, দুই পক্ষের মধ্যেই কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু কোনও পক্ষই খবরের সত্যতা স্বীকার করতে চায়নি। যদিও রাজস্থান এবং চেন্নাই দুই দলই আইপিএলে কর্তৃপক্ষের কাছে সম্ভাব্য বিনিময় নিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে। আইপিএলের ক্রিকেটারদের বিনিময়ের নিয়ম অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের লিখিত অনুমতি পেলে তবেই চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারবে দুই দল।
সংবাদ সংস্থাকে চেন্নাই দলের এক কর্তা বলেছেন, “সকলেই জানে আমরা সঞ্জুকে নিতে কতটা আগ্রহী। এই ট্রেডিং উইন্ডোতেই আমরা ওকে দলে নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি। রাজস্থান এখনও চূড়ান্ত কিছু জানায়নি। ওরা বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে ভাবছে। আমরা আশাবাদী যে সঞ্জু চেন্নাইয়ের হয়ে খেলবে।”
সঞ্জু এবং জাডেজা, দু’জনেই নিজেদের দলের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলছেন। রাজস্থানের হয়ে ১১ বছর খেলছেন সঞ্জু। জাডেজা চেন্নাইয়ের হয়ে খেলছেন ২০১২ থেকে। মাঝে দু’বছর চেন্নাই নির্বাসিত থাকার সময় তিনি অন্য দলের হয়ে খেলেছেন। ২০২৩ সালের ফাইনালে শেষ ২ বলে ১০ রান করে চেন্নাইকে আইপিএল জিতিয়েছিলেন জাডেজা। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির খুব ঘনিষ্ঠ ক্রিকেটার তিনি। যে হেতু চেন্নাই দল গঠনে ধোনির অনেকটাই ভূমিকা থাকে, তাই জাডেজাকে শেষ পর্যন্ত ছাড়া হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন:
২০২৫-এর মহা নিলামের আগে ১৮ কোটি টাকায় ধরে রাখা হয়েছিল জাডেজাকে। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের পরেই নাম ছিল তাঁর। চেন্নাইয়ের পাঁচটি ট্রফি জয়ের তিনটিতেই দলের সদস্য ছিলেন জাডেজা। মাত্র এক বছরের মধ্যে তাঁকে কেন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। আইপিএলের শুরুর দিকে রাজস্থানের হয়েই খেলেছেন জাডেজা। ২০০৮-এ প্রথম আইপিএল জেতা রাজস্থানের ক্রিকেটার হিসাবেই। ক্রিকেটজীবনের শেষ প্রান্তে হয়তো পুরনো দলেই প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে তাঁর।
অন্য দিকে, গত বছর রাজস্থানের দল পরিচালন সমিতির সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতান্তর হয়েছিল সঞ্জুর। আইপিএল শেষ হওয়ার পরেই জানিয়েছিলেন, রাজস্থানের হয়ে আর খেলতে চান না। সঞ্জু নিজেও চেন্নাইয়ে যোগ দিতে উৎসাহী বলে জানা গিয়েছে।