—প্রতীকী চিত্র
স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরে বর্ণবিদ্বেষী কাজ হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ সত্যি বলেই জানাল এক তদন্তকারী সংস্থা। সেই সংস্থা জানায় যে, স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই বর্ণবিদ্বেষী। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে স্কটল্যান্ড সরকারের ক্রীড়া দফতরকে।
তদন্তের সময় ৪৪৮টি এমন প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যাতে বোঝা যাচ্ছে যে ওই বোর্ড বর্ণবিদ্বেষী কাজ করত। স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা সকলেই একসঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন। এই সমস্ত প্রমাণ স্কটল্যান্ডের খেলাধূলার জন্য সতর্কবার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। এমন তথ্যও উঠে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কোনও ব্যক্তি বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশি করে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার এক কর্মী বলেন, “কোথায় ভুল রয়েছে সেটা স্কটিশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা দেখতেই পাননি। দেখতে না পাওয়ার কারণে বর্ণবিদ্বেষটাই সংস্কৃতি হয়ে উঠেছিল। দেশের ক্রিকেট বোর্ড প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বর্ণবিদ্বেষী হলেও স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটকে বর্ণবিদ্বেষী বলা যাবে না। এমন অনেক ক্লাব এবং সংস্থা রয়েছে যারা সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে পারে।”
বোর্ডের কর্তারা ইস্তফা দেওয়ায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্কটল্যান্ড ক্রিকেটের দায়িত্ব নেবে সে দেশের ক্রীড়া দফতর। যদিও নতুন ক্রিকেট বোর্ড তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রিকেট বোর্ড তৈরি করা হবে। সেখানে অন্তত ৪০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ মহিলা রাখতেই হবে। তাঁদের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ২৫ শতাংশ মানুষকে রাখতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের অন্তর্বর্তিকালীন কর্তা গর্ডন আর্থার বলেন, “যে খেলাকে আমরা ভালবাসি, সেই ক্রিকেটেই বর্ণবৈষম্য দেখা গিয়েছে। এটা হতে দেওয়া কখনই উচিত হয়নি। এত দিন ধরে এই বিষয়টা নিয়ে কেউ কথাই বলেনি। স্কটিশ ক্রিকেট বোর্ডের দ্বারা যে ক্রিকেটাররা বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছে তাদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। তাদের পরিবারের কাছেও। আশা করি এই তদন্ত তাদের আশ্বস্ত করবে। তাদের অভিযোগ যে শোনা হয়েছে। আমরা দুঃখিত যে এটা আগে করা হয়নি।”
আর্থার জানিয়েছেন যে এই তদন্ত প্রমাণ করেছে স্কটল্যান্ডে ক্রিকেট এখন একটা বদ্ধভূমি। বর্ণবিদ্বেষ দূর করাই এখন প্রধান কাজ বলে জানিয়েছেন তিনি। স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট যদিও থেমে থাকছে না। বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে তারা। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও খেলবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy