গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের ছোট ফরম্যাটের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান ও শাহিন আফ্রিদি। এত দিন পর শাহিন আবার ডাক পেলেও ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন বাবর ও রিজ়ওয়ান। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি কেরিয়ার কি শেষ হয়ে গেল দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের?
অগস্ট মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে তিনটে টি-টোয়েন্টি ও তিনটে এক দিনের ম্যাচের সিরিজ় খেলবে পাকিস্তান। সেই সিরিজ়ের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন শাহিন। এক দিনের দলেও ফিরেছেন তিনি। পাশাপাশি আরও দুই পেসার হাসান আলি ও হ্যারিস রউফকেও দলে ফেরানো হয়েছে। তাঁরা কেউ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ়ে ছিলেন না। বাংলাদেশের কাছে হারের পর তিন পেসার আব্বাস আফ্রিদি, আহমেদ দানিয়াল ও সলমন মির্জ়াকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজ়ের দলে নেওয়া হয়নি।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর বাবর ও রিজ়ওয়ানের সমালোচনা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন খেলার পরেও দলকে জেতাতে না পারায় তাঁদের নিশানা করেন পাকিস্তানের সমর্থকেরাই। দুই ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। সেই কারণে দল থেকে বাদ পড়েন তাঁরা। তরুণ ক্রিকেটারদের নেওয়া শুরু করেন নির্বাচকেরা। তার পর থেকে আর সুযোগ পাননি দুই ব্যাটার। ২০২৬ সালে আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে তাঁদের না নেওয়ায় মনে করা হচ্ছে যে, নির্বাচকেরা আর তাঁদের কথা ভাবছেন না। সেই কারণেই তাঁদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ না পেলেও এক দিনের দলে রয়েছেন বাবর ও রিজ়ওয়ান। দলের অধিনায়ক রয়েছেন রিজ়ওয়ানই। চলতি বছর তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নক আউটে উঠতে না পারলেও তাঁর উপর ভরসা দেখিয়েছেন নির্বাচকেরা।
আরও পড়ুন:
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল— সলমন আলি আঘা (অধিনায়ক), আব্রার আহমেদ, ফাহিম আশরফ, ফখর জ়মান, হ্যারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নওয়াজ়, হুসেন তালাত, খুশদিল শাহ, মহম্মদ হ্যারিস, মহম্মদ নওয়াজ়, শাহাবজ়াদা ফারহান, সাইম আয়ুব, শাহিন আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
পাকিস্তানের এক দিনের দল— মহম্মদ রিজ়ওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজ়ম, আবদুল্লা শফিক, আব্রার আহমেদ, ফাহিম আশরফ, ফখর জ়মান, হাসান আলি, হাসান নওয়াজ়, হুসেন তালাত, মহম্মদ হ্যারিস, নাসিম শাহ, মহম্মদ নওয়াজ়, সাইম আয়ুব, শাহিন আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।