বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের সামনে পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের পরে সুপার ফোরেও সূর্যকুমার যাদবদের কাছে হেরেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের মতে ফাইনালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতেচলেছে। যদিও প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার মনে করেন ভারতকে হারানো অসম্ভব নয়। কী ভাবে জিততে হবে, সেই পরামর্শওহ্যারিস রউফদের দিয়েছেন তিনি। শোয়েবের পরামর্শ, অভিষেক শর্মাকে দ্রুত ফেরাতে হবে।
কিন্তু একটি শোয়ে এই পরামর্শ দিতে গিয়ে প্রাক্তন পাক পেসার নামের গন্ডগোল করে বসেন। অভিষেক শর্মার বদলে বলে বসেন অভিষেক বচ্চনের নাম! যার পরে সমাজমাধ্যমে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়। শোয়েব প্রথমে বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তান যদি অভিষেক বচ্চনকে আগে আউট করে দেয়, তা হলেভারতের মিডল অর্ডারের কী হবে? ওরা কেউ ছন্দে নেই।’’ শোয়ে উপস্থিত বাকিরা দ্রুত সেই ভুল শুধরে দেন। কিন্তু তত ক্ষণেসমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে শোয়েবের এই মন্তব্য। এর পরে প্রতিক্রিয়া জানান স্বয়ং জুনিয়র বচ্চন!
অভিষেক বচ্চন।
শোয়েবের ওই মন্তব্যের পরে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) অভিষেক বচ্চন লেখেন, ‘‘সবাইকে সম্মান করেই বলছি, ওরা সেটাও করতে পারবে বলে মনে হয় না। যদিও আমি ক্রিকেটটা ভাল খেলতেই পারি না!’’
ওই শোয়ে শোয়েব আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ভারতীয় দলকে ঘিরে আমাদের যে মানসিকতা তৈরি হয়েছে, তা ভেঙে ফেলতে হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে মনোভাব ছিল, ফাইনালেও তা ধরে রাখতে হবে। ২০ ওভার বল করতে হবে এই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামলে হবে না।লক্ষ্য হবে ভারতকে আউট করা। ওদেরও যেন রান করার জন্য লড়াই করতে হয়।’’ শোয়েব আরও বলেছেন, ‘‘ভারতকে এক নম্বর দল হিসেবে দেখলে হবে না। বিশ্বের সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি আছে আমাদের দলে। হ্যারিস রউফ এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্রুততম। তাই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে নামলে সমস্যা হবে না।’’
অভিষেক শর্মাকে নিয়েই যে পাকিস্তানের সব চেয়ে বেশি চিন্তা তা শোয়েবের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট। বলেছেন, ‘‘অভিষেককে দ্রুত আউট করতে হবে। এক জন বোলার হিসেবে বলছি, রিকি পন্টিংয়ের মতো দুর্দান্ত ব্যাটসম্যানও ভালবাউন্সার বা নিখুঁত লেংথের বলে সমস্যায় পড়তে পারে। অভিষেক এই প্রতিযোগিতায় অনেক ভুল শট মেরেছে। মনে রাখবেন, প্রথম দুই ওভারে ওকে আউট করতে পারলেই ভারতও সমস্যায় পড়ে যাবে। ওদের উপরে চাপ বাড়বে।’’
এরই মধ্যে পাকিস্তান দলকে কটাক্ষ করে উত্তাপ বাড়িয়েছেন ইরফান পাঠানও। সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং ব্যর্থতা নিয়ে পাকিস্তানকে বিঁধেছেন ইরফান। বলেছেন, ‘‘দেখেই বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তান ফিল্ডিং করছে।’’
বাংলাদেশের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওভারে তৌহিদ হৃদয় এবং সইফ হাসান দু’জনই ক্রিজ়ের একই প্রান্তে এসে পড়েন। সেই সময় পয়েন্ট থেকে সাইম আয়ুব অন্য প্রান্তের উইকেট লক্ষ্য বল ছুড়েছিলেন। কিন্তু তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। অন্য কোনও ফিল্ডার না থাকায় হাসান নিরাপদেই ক্রিজ়ে ফিরে গিয়েছিলেন। ইরফান তখন বলেন, ‘‘একই প্রান্তে দুই ব্যাটসম্যান। রান-আউট কি হতে পারে? কিন্তু ওরা পারেনি। পাকিস্তানই পারে এ রকম ভুল করতে। দুই ব্যাটসম্যান এক প্রান্তে থাকা সত্ত্বেও যখন রানআউট করতে পারে না, তখন বোঝা যায় পাকিস্তান ফিল্ডিং করছে।’’
আবার ভারতের বিরুদ্ধে দু’বার হারলেও ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন। ফাইনালে ওঠার পরে পাক কোচ বলেছেন, ‘‘এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে হারা সত্ত্বেও আমরা ফাইনালে উঠেছি। এবং তা নিজেদের যোগ্যতায়। এ বার আমাদের ফাইনালে জিততেই হবে।’’ এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)