বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রায় তিন দিন কেটে গিয়েছে। এখনও সেই ঘোর কাটছে না স্মৃতি মন্ধানার। বিশ্বকাপ জিতেই নবি মুম্বইয়ের মাঠে বসে তিনি ট্রফি জয়ের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। বুধবার বোর্ড সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। হারের পর কেন কেঁদে ভাসিয়েছিলেন, সে কথা ব্যাখ্যা করেছেন স্মৃতি।
ভারতের সহ-অধিনায়ক জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন খেলার সুবাদে অনেক হার দেখেছেন তিনি। তবে প্রতিটি হার থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। অবশেষে বিশ্বকাপ জেতার পর আর আবেগ সামলাতে পারেননি। স্মৃতির কথায়, “প্রায় এক দশক হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। ২০১৭ এবং ২০২০-তে হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। এর পর গোটা দুয়েক সেমিফাইনালেও হেরেছি, যেগুলো পরে মনে হয়েছিল জিততে পারতাম।”
স্মৃতির সংযোজন, “যত বারই এ রকম হয়, মনে একটা ছাপ রেখে যায়। তবে এ বার এই দলটাকে নিয়ে খুব খুব গর্বিত। জার্সিতে ‘চ্যাম্পিয়ন্স’ লেখাটা দেখতে চাওয়াই অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে। ক্রিকেটার হয়ে যে কেউই চায় বিশ্বকাপ জিততে। ছোট থেকেই সেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। নিজের ঘরের মাঠে ৫০ হাজার লোকের সামনে খেলা এবং বিশ্বকাপ জেতা, এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।”
আরও পড়ুন:
ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কথা বলতে গিয়েই স্মৃতির চোখে দেখা গিয়েছিল জল। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আজ হয়তো ক্রিকেটমাঠে সবচেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। বরাবরই জানতাম এমনটা হতে পারে। কারণ এর আগে যত বার হেরেছি, অনেকে কাঁদলেও আমার চোখে জল আসেনি। স্রেফ অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তবে জিতলে যে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ব এটা আগে থেকেই জানতাম।”
স্মৃতি আরও বলেন, “গত ৩৫-৪০ দিন ধরে যে পরিবেশে আমরা ছিলাম তাতে বিশ্বকাপ জিতে আবেগপ্রবণ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সতীর্থদের দিকে তাকিয়ে বুঝছি, ওরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। এ সব দেখে আবেগ তো হবেই।”