আগামী বছর ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সেও কিছু ম্যাচ থাকার সম্ভাবনা। সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা সেই ম্যাচের টিকিট পাবেন কি না তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কারণ, বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা সিএবি তাদের সংবিধান সংশোধন করে রাজ্যের প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের টিকিট দেওয়ার নিয়মটাই তুলে দিয়েছিল। বিশেষ সাধারণ সভায় এই সংশোধনী পাস হয়ে গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু সুপ্রিম কোর্টের সম্মতির। কিন্তু জানা গেল, এই জটিলতা তৈরি হয়েছে সিএবি-র ছাপার ভুলে।
সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, “প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা অবশ্যই টিকিট পাবেন। তাঁরা বরাবরই টিকিট পেয়ে এসেছেন। আগামী দিনেও পাবেন। সংশোধিত সংবিধানে মেম্বারদের তালিকায় ‘অনারারি’ শব্দটা ভুল করে চলে গিয়েছিল। আমরা পরে এটা বাদ দিয়ে দিয়েছি। ভুল শুধরে নেওয়ার পর চূড়ান্ত সংবিধান সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হবে।”
গত ২ মার্চ সিএবি-র বিশেষ সাধারণ সভায় যে সব নিয়মে
পরিবর্তন করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ১৭(২) ধারা। প্রথমে জানা গিয়েছিল নতুন নিয়মে সিএবি-র ‘অনারারি মেম্বার’ বা সাম্মানিক সদস্যদের এ বার থেকে আইসিসি পরিচালিত কোনও
ম্যাচের টিকিট দেওয়া হবে না। যাঁরা বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন,
তাঁরাই সিএবি-র সাম্মানিক সদস্য হতে পারেন। ফলে সম্বরণ, রাজা বেঙ্কটের মতো বাংলার
রঞ্জিজয়ী ক্রিকেটার আর বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচের টিকিট পাবেন না। কিন্তু পরে সিএবি সভাপতি পরিষ্কার করে দিলেন ‘অনারারি’ শব্দটা ভুল করে তালিকায় উঠে গিয়েছে।
তবে, সিএবি-র লাইফ মেম্বার, অ্যানুয়াল মেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েট মেম্বাররা নতুন সংবিধান অনুযায়ী ইডেনে বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট পাবেন না। এখন সিএবি-র লাইফ মেম্বারের সংখ্যা ৮৯৭৭, অ্যানুয়াল মেম্বার ১০৭৭ এবং অ্যাসোসিয়েট মেম্বার ১০৭৯। ফলে সব মিলিয়ে ১১,১৭৩ জন সদস্য আর বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট পাবেন না।